কাজ শুরু বাইডেনের, চলছে মন্ত্রীসভা বাছাই
সময় সিলেট ডট কম
আন্তর্জাতিক ডেস্ক::
যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে বিজয়ী ডেমোক্র্যাট প্রার্থী জো বাইডেনের প্রেসিডেন্ট হিসেবে অভিষেক হবে আগামী ২০ জানুয়ারি। কিন্তু সেই অপেক্ষায় বসে নেই তিনি। বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে কথা বলছেন, ঠিক করছেন করণীয়। সেই কাজের দায়িত্ব কাদের হাতে তুলে দেবেন, ভাবছেন তা নিয়ে, ঠিক করছেন মন্ত্রিসভার মুখ।
নির্বাচন ঘিরে বিভক্ত যুক্তরাষ্ট্রকে মহামারীসহ যেসব সমস্যার মধ্যে দিয়ে যেতে হচ্ছে, সেসব মোকাবেলার জন্য পরিকল্পনা গোছাতে শুরু করেছেন সদ্য নির্বাচিত প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন ও তার উপদেষ্টারা বাইডেন-হ্যারিস জুটির ক্ষমতা গ্রহণের প্রস্তুতিতে নেতৃত্ব দিচ্ছেন সাবেক ডেমোক্র্যাট সিনেটর স্যাম কফম্যান। আইন অনুযায়ী, তারা ইতিমধ্যে সরকারি ভবনে কাজকর্ম চালিয়ে যাওয়ার অনুমতি পেয়েছেন। তবে করোনাভাইরাসের কারণে অধিকাংশ কাজ যার যার ঘরে বসেই চলছে।
বাইডেন জানিয়েছেন, ক্ষমতা গ্রহণের প্রথম দিনই তিনি নির্বাহী ঘোষণার মাধ্যমে ট্রাম্প প্রশাসনের বিভিন্ন ক্ষতিকর সিদ্ধান্ত রদ করবেন। এর অন্যতম হলো প্যারিস জলবায়ু চুক্তি ও বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থায় যুক্তরাষ্ট্রের প্রত্যাবর্তন। ২০১৭ সালের ১ জুলাই ট্রাম্প এই চুক্তি থেকে বেরিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দেন। নিয়ম অনুযায়ী, তার ওই সিদ্ধান্ত কার্যকর হয় ৪ নভেম্বর, প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে আনুষ্ঠানিক ভোট গ্রহণের পরদিন।
সোমবারই তিনি করোনাভাইরাস টাস্কফোর্সের ১২ সদস্যের নাম ঘোষণা করবেন বলে আশা করা হচ্ছে। এছাড়া আরও বেশ কিছু পরিকল্পনার ঘোষণা দিয়েছেন বাইডেন। দায়িত্ব নেওয়ার পর অগ্রাধিকার ভিত্তিতে করা হবে এমন বেশ কিছু পরিকল্পনার কথা ঘোষণা দিয়েছে বাইডেনের টিম। কংগ্রেসের অনুমোদন ছাড়াই কেবল প্রেসিডেন্টের নির্বাহী আদেশে সম্পন্ন করা যাবে এমন কিছু পরিকল্পনার তালিকা প্রকাশ করা হয়েছে। এই তালিকার অন্যতম লক্ষ্য ট্রাম্প প্রশাসনের নেওয়া পদক্ষেপ পাল্টে ফেলা।
তালিকায় যেসব পরিকল্পনা রয়েছে তার মধ্যে থাকছে:
# প্যারিস জলবায়ু চুক্তিতে আবারও যুক্ত হবেন জো বাইডেন, গত বুধবার আনুষ্ঠানিকভাবে ওই চুক্তি থেকে বের হয়ে যায় যুক্তরাষ্ট্র।
# বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও) থেকে যুক্তরাষ্ট্রকে প্রত্যাহার করে নেওয়ার সিদ্ধান্ত পাল্টে ফেলা হবে।
# সাতটি মুসলিম দেশের বিরুদ্ধে আরোপিত ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা বাতিল করা হবে।
# শিশু হিসেবে যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশ করা অনিবন্ধিত অভিবাসীদের অভিবাসী মর্যাদা দেওয়ার ওবামা-যুগের নীতি পুনর্বহাল করা হবে।
এদিকে বাইডেনের প্রশাসনে কারা স্থান পাচ্ছেন, তা নিয়ে শুরু হয়েছে জল্পনাকল্পনা। এখন সবার আগ্রহ, যুক্তরাষ্ট্রের পরবর্তী পররাষ্ট্রমন্ত্রী কে হবেন, তা নিয়ে। ডেলাওয়ারের সিনেটর ক্রিস কুন এই পদে আগ্রহী বলে জানা গেছে। নিউ জার্সির সিনেটর ক্রিস মার্ফি এবং ওবামা প্রশাসনের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা সুসান রাইসও এই পদের দাবিদার। বেশির ভাগ সূত্রই বলেছে, বাইডেন ও সুসান রাইস ঘনিষ্ঠ বন্ধু, ওবামা আমলে তাঁরা দুজনে একসঙ্গে কাজ করেছেন।
বাইডেনের অধীনে জাতীয় গোয়েন্দা বিভাগের পরিচালক অথবা সিআইএ-র পরিচালক হিসেবে যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক দুই জ্যেষ্ঠ গোয়েন্দা কর্মকর্তা মাইকেল মোরেল ও আব্রিল হেইন্স প্রধান প্রার্থী হিসেবে সামনে এসেছেন বলে বেশ কয়েকজন বর্তমান ও সাবেক গোয়েন্দা কর্মকর্তা।