পাঠানটুলা-বিমানবন্দর রোড সংস্কারের দাবীতে দুই মন্ত্রী বরাবরে স্মারকলিপি
বিশেষ সংবাদদাতা :
বিশেষ সংবাদদাতা : পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ.কে আব্দুল মোমেন ও এলজিআরডি মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম বরাবরে সিলেট নগরীর পাঠানটুলা-বিমানবন্দর বাইপাস রোড সংস্কারের দাবীতে সিলেটের জেলা প্রশাসক এম. কাজী এমদাদুল ইসলাম এর মাধ্যমে স্মারকলিপি প্রদান করা হয়।
গত রোববার ২৯ নভেম্বর দুপুরে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে পাঠানটুলা-বিমানবন্দর বাইপাস রোড উন্নয়ন সংগ্রাম কমিটির আহ্বায়ক আব্দুল জব্বার মদই মিয়া ও সদস্য সচিব মো. নাছির উদ্দিন, সিনিয়র সাংবাদিক ও কলমযোদ্ধা লিয়াকত আলী খান, কয়েছ আহমদ দুলাল, শ্রমিক নেতা আব্দুল লতিফ তাফাদার, অবসরপ্রাপ্ত সেনা কর্মকর্তা আব্দুল জলিল তাফাদার, আমির আলী, মাছুম আহমদ, সেলিম রাজু আহমদ প্রমুখ নেতৃবৃন্দ স্মারকলিপি প্রদান করেন।
স্মারকলিপিতে বলা হয়- সিলেট মহানগরীসহ সারাদেশের কয়েক লক্ষ জনগণের চলাচলের একমাত্র পাঠানটুলা-বিমানবন্দর বাইপাস সড়ক জনস্বার্থে সংস্কারসহ উন্নয়নের লক্ষ্যে গত ৩ বছর আগে সরকারি বরাদ্দ দেয়া হলেও প্রকল্প ব্যয় বাড়াতে ও সরকারী অর্থ আত্মসাতের হীন উদ্দেশ্যে সড়কটি সংস্কার ও মেরামতে নিযুক্ত ঠিকাদারসহ সংশ্লিষ্ট দায়িত্বশীলরা সড়কের উভয় পাশ খুঁড়ে ঢিলেতালে কাজ করায় যানচলাচলের অযোগ্য হয়ে পড়েছে।
স্মারকলিপি’তে আরও বলা হয়- দুঃখজনক হলেও সত্য যে, এলজিইডি’র দায়িত্বশীল কর্মকর্তা আর ঠিকাদাররা এতে কোন গুরুত্ব না দিয়ে আন্দোলন বানচালের ষড়যন্ত্রে লিপ্ত। ঠিকাদার আর এলজিইডি’র দায়িত্বশীলরা বর্তমান সরকারের ভাবমূর্তি নষ্ট করার লক্ষ্যে এমনটি করছে। যার কারণে এলাকাবাসী অনেকেই চাচ্ছেন, সিলেট-সুনামগঞ্জ মহাসড়কসহ বিমানবন্দর-আম্বরখানা রাস্তা অবরোধ করে বিষয়টি মাননীয় প্রধানমন্ত্রী দেশরত্ন শেখ হাসিনার নজরে দেওয়ার। এলাকাবাসীরা শান্তিপ্রিয় মানুষ, তারা আন্দোলন-সংগ্রামে যেতে চান না- কিন্তু দুর্ভোগের শিকার এলাকাবাসী জানে যে, ‘অধিকার কেউ কাউকে দিয়ে দেয় না-কখনও আদায় করে নিতে হয়’। মন্ত্রীদ্বয় যদি ব্যবস্থা না নেন, তা’হলে প্রধানমন্ত্রী বরাবরেও পাঠানটুলা-বিমানবন্দর বাইপাস রোড উন্নয়ন সংগ্রাম কমিটি ‘স্মারকলিপি’ দেবে- এরপর অবরোধসহ আরো বৃহত্তর কর্মসূচী দিয়ে মাঠে নামবে। যার দায়-দায়িত্ব এলজিইডি’র কর্মকর্তাসহ সবাইকেই নিতে হবে।