বিশ্বনাথের চাউলধনী হাওরের বোরো ফসলের ক্ষতি করায় ৬ গ্রামের প্রতিবাদ
বিশ্বনাথ সংবাদদাতা :
বিশ্বনাথ সংবাদদাতা : সিলেটের বিশ্বনাথের সর্ববৃহৎ চাউলধনী হাওরের পানি শুকিয়ে বোরো ফসলের ক্ষতির প্রতিবাদে ৬ গ্রামবাসীর কৃষকরা সভা করেছেন। বৃহস্পতিবার (৩ ডিসেম্বর) দুপুরে উপজেলার দৌলতপুর ইউনিয়নের পাড়ুয়া গ্রামের প্রবাসী শফিকুর রহমানের বাড়ির উঠানে এ প্রতিবাদ সভা অনুষ্ঠিত হয়। প্রতিবাদে অংশ নেন হাওর পাড়ের দৌলতপুর, মৌলভীর গাঁও, হাসনাজি, পাঁড়ুয়া, মীরগাঁও ও কালিটেকা গ্রামের কৃষকরা।
পাড়ুয়া গ্রামের প্রবীণ মুরব্বি আশ্রব আলীর সভাপতিত্বে সভায় বক্তারা বলেন- উপজেলার বৃহৎ চাওলধনী হাওরের পাড়ের মানুষ বোরো ক্ষেতের উপর নির্ভরশীল। বর্তমানে পানি শুকিয়ে মাছ ধরছেন হাওর ইজারাদাররা। যার ফলে আগামী বোরো ফসলে ব্যাপক প্রভাব পড়বে। এমনকি যেভাবে পানি শুকানো হচ্ছে তাতে করে হাওরের এক তৃতীয়াংশ জমিতে বোরো চাষ করা অসম্ভব হয়ে পড়েছে।
তারা বলেন- ইজারাদাররা প্রভাবশালী হওয়ায় কেউ মুখ খুলতে সাহস পাচ্ছেন না। এটা দীর্ঘদিনের সমস্যা হলেও সম্প্রতি ইজারাদাররা অতিরিক্ত প্রভাব খাঁটিয়ে হাওরের পানি সেঁচ দিয়ে হাওর শুকিয়ে দিয়েছেন। এতে করে হাওর পাড়ের কয়েক হাজার কৃষক বিপাকে পড়েছেন। বক্তারা আরও বলেন- বর্ষার মৌসুমে ইজারাদাররা কৃষকের নিজস্ব জমিতেও মাছ ধরায় বাঁধা প্রদান করেছেন। এমনকি বাড়ির পাশে হাওরে হাঁস নামলেও ইজারাদাররা সেই হাঁস ধরে নিয়ে গেছেন।
তারা জানান- আজ হাওর পাড়ের ক্ষতিগ্রস্থ কৃষকরা একত্রিত হচ্ছে। বৃহস্পতিবার ৬ গ্রামের বৈঠক হলেও আগামী শনিবার থেকে হাওরের চারপাড়ের সকল গ্রামের কৃষকরা একত্রে প্রতিবাদে নামবে। প্রয়োজনে সবাইকে নিয়ে বৃহত্তর আন্দোলনের ডাক দিবেন বলেও হুশিয়ারী দেন তারা।
প্রতিবাদ সভায় হাসনাজি গ্রামের জাহিদুল ইসলামের পরিচালনায় সভায় পাড়ুয়া গ্রামের বাবুল মিয়া মাস্টার মূল সমস্যাগুলো তুলে ধরেন। অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন- মৌলভীরগাঁও গ্রামের প্রবীণ মুরব্বী মাওলানা ছমির উদ্দিন, যুক্তরাজ্য প্রবাসী শফিকুর রহমান শফিক, দৌলতপুর গ্রামের রোহেল আহমদ কালু, তাহের মিয়া।
এসময় মৌলভীরগাঁও গ্রামের হাজী মাহমদ আলী, আব্দুল মতিন, মাহফুজুর রহমান, হোসেন আহমদ, আব্দুস সোবহান, হাসনাজী গ্রামের আব্দুল মালিক, মাসুক আলী, পাড়–য়া গ্রামের হাজী হিরণ মিয়া, হাজী ফারুক মিয়া, লুৎফুর রহমান, সাইফুল ইসলাম, শরিফ আলী, আব্দুর রাজ্জাক, দৌলতপুর গ্রামের রিপন মিয়া, আবু সালেহ, জামাল আহমদ, লিলু মিয়া, আজাম মিয়া, জুয়েল মিয়া, মীরগাঁও গ্রামের আব্দুল মুমিন, মুজিবুর রহমানসহ ৬ গ্রামের বিপুল সংখ্যক মানুষ উপস্থিত ছিলেন।