মাধবপুরে গ্রাহকের ৮০ লাখ টাকা আত্মসাত : ব্যাংক কর্মকর্তা গ্রেপ্তার
স্টাফ রিপোর্টার :
স্টাফ রিপোর্টার : হবিগঞ্জের মাধবপুরে এক গ্রাহকের ৮০ লাখ টাকা আত্মসাতের অভিযোগে এবি ব্যাংক মাধবপুর শাখার সাবেক ব্যবস্থাপক সৈয়দ মাহমুদুল হককে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। বুধবার (২ ডিসেম্বর) দিবাগত রাতে মাধবপুর থানার উপপরিদর্শক (এসআই) ফজলে রাব্বি ঢাকার মতিঝিল এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেপ্তার করেন।
এর আগে গত মঙ্গলবার এবি ব্যাংকের মাধবপুর শাখার বর্তমান ব্যবস্থাপক লিয়াকত আলী খাঁন বাদী হয়ে সাবেক ব্যবস্থাপক সৈয়দ মাহমুদুল হক, শাখা অপারেশন ব্যবস্থাপক মুহিবুর রহমান, মাধবপুর বাজারের মুন্সি টাওয়ারের সত্ত্বাধিকারী মো. আব্দুল হাসিমকে আসামি করে মাধবপুর থানায় একটি মামলা দায়ের করেন।
মামলা সূত্রে জানা গেছে- ২০১৫ সালের ২৩ আগস্ট আদিল হোসেন নামে এক গ্রাহক তার একাউন্টে ৮৬ লাখ পঞ্চাশ হাজার টাকা জমা দেন। ২০১৬ সালের ১ নভেম্বর মো. আদিল হোসেন মাসিক ইনকাম ডিপোজিট স্কীম এর আওতায় Mids নং ৩৫১৭৯৮৭ এবং Mids নং ৩৫১৭৯৮৮ এর মাধ্যমে ৮০ লাখ টাকা ওই স্কীমে জমা দেন। কিন্তু তৎকালিন ব্যবস্থাপক সৈয়দ মাহমুদুল হক ওই আশি লাখ টাকা ব্যাংকে জমা না রেখে নিজের কাছে রেখে দেন এবং প্রতি মাসে সুদের টাকা ব্যবস্থাপক নিজের পকেট থেকে গ্রাহককে দিতে থাকেন। পরবর্তীতে ২০২০ সালের ৮ নভেম্বর আদিল হোসেন ও তার ছেলে রেনু মিয়া মাসিক ইনকাম ডিপোজিট স্কীম ভাঙ্গানোর জন্য ব্যাংকে আসেন। কিন্তু দায়িত্বরত ব্যাংক কর্মকর্তারা ওই মাসিক ইনকাম ডিপোজিট স্কীম এর কোনো অস্থিত্বই ব্যাংকে খুঁজে পাননি। কিন্তু ডিপোজিট স্কীম কাগজপত্র দেখে বুঝা যায় তা আসল। সঙ্গে সঙ্গে ভারপ্রাপ্ত ব্যবস্থাপক লিয়াকত আলী খাঁন অপারেশন ব্যবস্থাপক মুহিবুর রহমানকে বিষয়টি জিজ্ঞেস করলে তিনি ঘটনা স্বীকার করেন। ঘটনা জানাজানি হলে তৎকালিন ব্যবস্থাপক সৈয়দ মাহমুদুল হক তা স্বীকার করে গ্রাহকের টাকা ফেরত দেওয়ার অঙ্গিকার করেন।
মামলায় বাদী আরও উল্লেখ করেন- এবি ব্যাংকের প্রধান শাখা থেকে গঠিত ২ সদস্যের তদন্ত কমিটি পর্যালোচনা করে দেখেন যে, ২০১৫ সালের ২৩ আগস্ট আদিল হোসেন নামে এক গ্রাহক তার একাউন্টে ৮৬ লাখ পঞ্চাশ হাজার টাকা জমা দেন। ব্যবস্থাপক ৩০ আগস্ট ওই গ্রাহকের একাউন্ট থেকে বিনা চেকে মুন্সি টাওয়ারের মালিক আব্দুল হাসিমের মুন্সী এন্টারপ্রাইজ নামে একই ব্যাংকের একাউন্টে ৮৫ লাখ টাকা স্থানাস্থর করেন। ২০১৬ সালের ১ নভেম্বর আদিল হোসেনের একাউন্টে কোনো লেনদেন হয়নি।
এ ব্যাপারে মাধবপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. ইকবাল হোসেন বলেন- ‘সৈয়দ মাহমুদুল হক একজন প্রতারক। তিনি ওই শাখা থেকে বিভিন্ন গ্রাহকের প্রায় সাড়ে ৩ থেকে ৪ কোটি টাকা আত্মসাত করেছেন। তার বিরুদ্ধে একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। তাকে জিজ্ঞাসাবাদে আরও বিস্তারিত জানা যাবে।’