বিশ্বনাথে মাদ্রাসা ছাত্রকে বলাৎকারের ঘটনায় টমটম চালক গ্রেপ্তার
বিশ্বনাথ সংবাদদাতা :
বিশ্বনাথ সংবাদদাতা : সিলেটের বিশ্বনাথ উপজেলার দশঘর ইউনিয়নের দারুল উলুম বরুনী মাদ্রাসার এক ছাত্রকে (১৫) বলাৎকারের ঘটনায় জাহান মিয়া (২৫) নামে এক টমটম চালককে গ্রেপ্তার করেছে থানা পুলিশ।
সে উপজেলার দশঘর ইউনিয়নের বরুনী গ্রামের আবদুল খালিকের পুত্র। বলাৎকারের শিকার ছাত্রের মায়ের দায়ের করা মামলায় বুধবার (২ ডিসেম্বর) রাতে জাহান মিয়াকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। তার (জাহান) বিরুদ্ধে থানায় দায়ের করা মামলা নং ২ (তাং ৩.১২.২০ইং)।
মামলার এজাহারে বাদী উল্লেখ করেন- বাদীর পুত্র উপজেলার দশঘর ইউনিয়নের দারুল উলুম বরুনী মাদ্রাসা ছাত্রাবাসে থেকে লেখাপড়া করছে। গত ২৪ নভেম্বর মঙ্গলবার দুপুর ২টার দিকে স্থানীয় পীরেরবাজার থেকে পায়ে হেটে মাদ্রাসায় যাওয়ার পথে বরুনী ঈদগাহ মাঠের কাছে জাহান মিয়ার সাথে বাদীর পুত্রের দেখা হয়। পূর্ব পরিচিত হওয়ায় জাহান মিয়া তার আত্মীয়-স্বজনের কবর জিয়ারতের কথা বলে বাদীর পুত্রকে বরুনী ঈদগাহ সংলগ্ন কবরস্থানের বাউন্ডারী দেয়ালের কাছে নিয়ে সেখানেই জোরপূর্বক বলাৎকার করে। লোকলজ্জার ভয়ে সে কাউকে কিছু না জানালেও ওই দিন মাগরিবের নামাজ আদায় করতে পীরের বাজার মসজিদে গিয়ে প্রকৃতির ডাকে সাড়া দেয়ার সময় তার মলদ্বার দিয়ে রক্ত পড়া শুরু হয়। এসময় সে অজ্ঞান হয়ে পড়লে স্থানীয় লোকজন তাকে উদ্ধার করে প্রথমে প্রাথমিক চিকিৎসা প্রদান করেন। জ্ঞান না ফেরায় পরে বাদী ও বরুনী মাদ্রাসার শিক্ষকরা মিলে তাকে সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করি। বলাৎকারের ফলে বাদীর পুত্রের পায়ুপথ ছিঁড়ে গিয়ে ভেতরে মারাত্মক ক্ষত সৃষ্টি হওয়ায় (কর্তব্যরত চিকিৎসকদের ভাষ্য) পরদিন দুপুরে অপারেশনের মাধ্যমে পায়ুপথে মলত্যাগের জন্যে বিকল্প পথ তৈরী করা হয়। বর্তমানে সে সংকটাপন্ন অবস্থায় ওই হাসপাতালেই চিকিৎসাধীন রয়েছে।
বিশ্বনাথ থানার অফিসার ইন-চার্জ (ওসি) শামীম মুসা বলেন- পুলিশের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে বলাৎকারের বিষয়টি স্বীকার করেছে জাহান মিয়া।