এমসি কলেজ থেকে নাম্বর নিয়ে নারী শিক্ষার্থীকে উত্যক্ত
স্টাফ রিপোর্টার :
স্টাফ রিপোর্টার : গৃহবধূ গণধর্ষণকাণ্ডের রেশ এখনো কাটেনি, এরই মধ্যে এমসি কলেজের এক ছাত্রীকে উত্ত্যক্ত করার অভিযোগ উঠেছে। তাও আবার কলেজ গেটে সংরক্ষিত খাতা থেকে নম্বরটি দেয়া হয়েছে। বিষয়টি নিয়ে সরগরম সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম।
শনিবার (৫ ডিসেম্বর) বিকেলে এমসি কলেজের শিক্ষার্থীদের দ্বারা পরিচালিত একটি ফেসবুক গ্রুপে মাহরিন ঝুমু নামে এক শিক্ষার্থী তাকে উত্যক্ত করার বিষয়ে পোস্ট করেন। তিনি লিখেন- ‘আজ সকাল সাড়ে এগারোটার দিকে আমরা তিন বান্ধবী একাডেমিক কিছু দরকারে এমসি কলেজে যাই। গেইটে আমাদের নাম, ডিপার্টমেন্টের নাম ও মোবাইল নম্বর দিয়ে এন্ট্রি করি। বাসায় ফেরার পর অপরিচিত একটা নম্বর থেকে ফোন আসে।
তিনি লিখেন- প্রথমে রিসিভ করিনি। পরে আবার নোংরা ভাষায় মেসেজ দেয়, কিন্তু আমি রেসপন্স করিনি। বিকেল ৪ টার দিকে আবারও ফোন দিলে রিসিভ করে পরিচয় জিজ্ঞেস করি। কলদাতা বলেন- আপনার প্রিয়জন আমি। পরে নম্বর কোথায় পেলেন; এমন প্রশ্নে, কলদাতা বলেন- এমসি কলেজে তিন বান্ধবী গিয়ে যে খাতায় নম্বর দিয়েছিলেন, এ সময় আমি ছিলাম। পরে আপত্তিকর আরও কথাবার্তা শুরু করলে ফোন কেটে দেই।’
পোস্টটা মুহুর্তেই ভাইরাল হয়। যেখানে অনেকে নাম্বার নেওয়ার বিষয়টাতে আপত্তি জানিয়ে বলেন, এটা বন্ধ করা হোক।
বিষয়টি সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ওই শিক্ষার্থীর সাথে যোগাযোগ করা হলে, এমসি কলেজে অর্থনীতি বিভাগের মাস্টার্সে পড়া মাহরিন ঝুমু জানান- ‘কলেজে ঢুকার আগে আমরা যখন নাম, নম্বর এন্ট্রি করি, তখন সেখানে গার্ডসহ কয়েকজন ছিলেন। তাদেরকে আমি চিনি না। এখান থেকেই কেউ একজন নম্বর নিয়ে আমি ও আমার দুই বন্ধুকে বিরক্ত করে আপত্তিকর কথাবার্তা বলে।
মাহরিন বলেন- আমরা তিনজন, কখন, কয়টার সময় একসাথে কলেজে যাই, কখন খাতায় নাম্বার দেই সব ওই ব্যক্তি কি করে জানবেন? মাহরিন জানান- উত্ত্যক্তকারী এই অজ্ঞাত ব্যক্তি স্বীকারও করেছেন, এন্ট্রি খাতা থেকেই নাম্বার সংগ্রহ করেছিলেন তিনি।
এ ব্যাপারে এমসি কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর মো. সালেহ আহমেদের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন- বিষয়টা আমি শুনেছি। কে কার কাছ থেকে নাম্বার নিয়ে ফোন করল, এসব আমরা খুঁজে বের করে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেব। আর কলেজে ঢুকার ক্ষেত্রে নাম্বার দেওয়ার ব্যাপারে বলেন- ‘আজ থেকে নাম্বার দেওয়ার বিষয়টি বন্ধ করে দেওয়া হবে। কলেজে ঢুকতে কোন শিক্ষার্থীকে আর নম্বর দিতে হবে না।’