শাহ শামীম আহমেদ —এর দু’টি কবিতা
সময় সিলেট ডট কম
শাহ শামীম আহমেদ —এর দু’টি কবিতা
পিপাসাকাতর
লাজুক বধুর মতো ছলনার ঘোমটা
পরে ঘনিয়েছে রমণীয় রাত
কালো রেশমের মতো মোলায়েম ঘুম
হারাম স্বপ্নের ভেতর পরকীয়া রাত…
আমার বাঁ হাত ধরে অবুঝ বালক যেনো
নিয়ে গেছে কোনো এক স্বর্গপ্রহরে,
অবিকল তোমার মুখের মতো বনলতা
রমণীরা বাড়িয়েছে স্বর্গের শোভা,
কোমল জ্যোৎস্নার ব্রা রোদের
নূপুর পরে নাচছে পরীদল,
সুগন্ধী শরীর থেকে ঘাম হয়ে ঝরছে
মুগ্ধতা নেশার শরাব
সঙ্গমে ক্লান্তিহীন পরাবাস্তব হুরেরা স্বর্গ মাত করে
আমাকে পান করে পিপাসাকাতর।
জলের আয়না
পালাচ্ছে ঘরবাড়ি নদী ও নারী,
নিসর্গের শাড়ীপরা জলপাই গ্রাম;
আর চলন্ত ট্রেন থেকে তুমি জানালায়
বাড়িয়েছো গ্রীবা;
কী নাম তোমার শাহজাদী? বিষণ আর
উজ্জল দুটি চোখ তোমার।
মুহুর্র্মুহু বিস্ফোরিত কবির হৃদয়ে,
মুখখানি তৃষ্ণার্ত কবির চোখে
জলের আয়না! হাওয়ায় উড়ছে চুল,
খোলা চুল কল্পচোখ খোলে।
এরকম চিত্রকল্প আমি ও দেখেছি।
ছেঁড়া মেঘের মতো ভাবনাগুলো ছিল
বড় এলোমেলো বেগুনী ও নীল।
তাই দ্বিধার হাতখানি বাড়িয়েছি বড়ই দেরিতে।
শেষ বিকেলের ট্রেন তখন
ফোরাত নদীর উপর;
সামনে ফোরাত নদীর উদারতা নারীকে কোমল করে।
তাই তুমি বাড়িয়েছ খোপের পায়রার
নরম বুকের মতো ঠান্ডা ও উজ্জল হাত।
এই হাতখানি আমি আজও রেখেছি
আমার বুকের গভীরে।
একটু ঠান্ডা হলে এই হাতের উষ্ণ স্পর্শ অনুভব করি।
একটু উজ্জল হলে মনে পড়ে তৃষ্ণার্ত
কবির চোখে জলের আয়না।