‘গ্রাম আদালত কোন প্রকল্প নয়, জনগুরুত্বপূর্ণ সরকারি সেবা’
সময় সিলেট ডেস্ক :
ইউরোপীয়ান ইউনিয়ন, ইউএনডিপি এবং বাংলাদেশ সরকারের আর্থিক সহায়তায় বাংলাদেশে গ্রাম আদালত সক্রিয়করণ (২য় পর্যায়) প্রকল্প এর আওতায় জেলা প্রশাসন, সিলেট গ্রাম আদালত সক্রিয়করণে হিসাব সহকারী-কাম-কম্পিউটার অপারেটরদের ৩ দিনব্যাপী গ্রাম আদালত বিষয়ক প্রশিক্ষণের উদ্বোধনী অনুষ্ঠান মঙ্গলবার সকাল ১০টায় বন্দরবাজারস্থ একটি অভিজাত হোটেলে অনুষ্ঠিত হয়।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে স্থানীয় সরকার সিলেটের উপ-পরিচালক মীর মোহাম্মদ মাহবুবুর রহমান বলেন- গ্রাম আদালত কোন প্রকল্প নয়, জনগুরুত্বপূর্ণ সরকারি সেবা। গ্রামে অনেক ছোট খাটো অপরাধ সংঘটনের ঘটনা ঘটলেও সাধারণ মানুষ তার প্রতিকার চাইতে থানা বা জেলা আদালতে আসেন যাতে অনেক সময় ও অর্থের অপচয় হয়। সাধারণ মানুষের দোরগড়ায় ন্যায় বিচার পৌঁছে দিতে কার্যকর গ্রাম আদালত সরকারের এক অনন্য সেবা। দিন দিন সাধোরণ মানুষের মধ্যে গ্রাম আদালত সম্পর্কে সচেতনতা বৃদ্ধি পাচ্ছে।
প্রশিক্ষণে গোয়াইনঘাট, গোলাপগঞ্জ এবং বিয়ানীবাজার উপজেলার হিসাব সহকারী কাম কম্পিউটার অপারেটরগণ অংশগ্রহণ করেন।
কর্মশালায় জেলা প্রশিক্ষণ পুলের সদস্য হিসেবে বিভিন্ন অধিবেশন পরিচালনা করেন- সিলেটের সিনিয়র সহকারী জজ ও জেলা লিগ্যাল এইড অফিসার মো. মামুনুর রহমান ছিদ্দিকী, এসএমপি’র সিনিয়র সহকারী পুলিশ কমিশনার মতিয়ার রহমান, বাংলাদেশে গ্রাম আদালত সক্রিয়করণ (২য় পর্যায়) প্রকল্পের জেলা ফ্যাসিলিটেটর খন্দকার রবিউল আউয়াল নাসিম।
উল্লেখ্য, এ প্রকল্প স্থানীয়ভাবে সহজে, কম খরচে, দ্রুত এবং স্বচ্ছ প্রক্রিয়ায় বিরোধ নিষ্পত্তি করা এবং অন্যায়ের প্রতিকার লাভের লক্ষ্যে তৃণমূলের দরিদ্র ও প্রান্তিক জনগোষ্ঠী বিশেষত: নারীদের সক্ষমতা বৃদ্ধির জন্য কাজ করছে। প্রকল্পটি বর্তমানে এর ২য় পর্যায়ে দেশের ২৭ জেলার ১২৮ উপজেলার ১,০৮০টি ইউনিয়নে প্রায় ২ কোটি গ্রামীণ জনগণের কাছে সেবা পৌঁছে দেয়ার জন্য কাজ করছে। এছাড়াও প্রকল্পটি এর ১ম পর্যায়ে দেশের ৬টি বিভাগের (ঢাকা, রংপুর, খুলনা, বরিশাল, চট্টগ্রাম ও সিলেট) ৩৫১টি ইউনিয়নে ২৫ লাখের ও বেশি স্থানীয় লোকজনকে (যার মধ্যে ১৯,৫৩,০০০জন নারী) বিচারিক সুবিধা পেতে সাহায্য করেছে।