স্বপ্ন হলো সত্যি : জুড়ে গেলো পদ্মার এপার-ওপার
সময় সিলেট ডেস্ক :
শেষ পর্যন্ত স্বপ্ন মুঠোবন্দি হয়েছে বাংলাদেশের। সর্বশেষ স্প্যান যুক্ত করে এক হয়ে গেলো পদ্মার এপার-ওপার। অর্থাৎ জুড়ে গেলো পদ্মার এপার মুন্সিগঞ্জের মাওয়া থেকে পদ্মার ওপার শরীয়তপুরের জাজিরা পর্যন্ত। পদ্মা নদীতে এখন দৃশ্যমান পদ্মাসেতুর ৬.১৫ কিলোমিটার।
বৃহস্পতিবার (১০ ডিসেম্বর) সকালে মুন্সিগঞ্জের মাওয়া প্রান্তে সেতুর ১২ ও ১৩ নম্বর পিলারের ওপর বসানো হয়েছে ১৫০ মিটার দৈর্ঘ্যের সর্বশেষ ৪১তম স্প্যানটি। ৪০তম স্প্যান বসানোর ৬ দিনের মাথায় বসানো হলো এ স্প্যান। এর আগে বুধবার (৯ ডিসেম্বর) বাংলাদেশ ও চীনের পতাকায় সজ্জিত স্প্যানটি কনস্ট্রাকশন ইয়ার্ড থেকে সেতুর পিলারের কাছে নেওয়া হয়।
এদিকে, ২০২২ সালের জুন মাসের মধ্যে পদ্মা সেতু চালু হবে বলে জানিয়েছেন মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম। বৃহস্পতিবার (১০ ডিসেম্বর) রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে অর্থ মন্ত্রণালয়ের অর্থ বিভাগ আয়োজিত ‘কোভিড-১৯ মোকাবিলা এবং টেকসই ও অন্তর্ভুক্তিমূলক অর্থনৈতিক পুনরুদ্ধারে বাংলাদেশ সরকারের নেওয়া প্রণোদনা প্যাকেজ’ বিষয়ে মতবিনিময় সভায় বিশেষ অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
২০০১ সালের ৪ জুলাই পদ্মা সেতুর ভিত্তি প্রস্তর স্থাপন করেছিলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এরপর প্রায় সাত বছর কাজ এগোয়নি। স্থান নির্ধারণের পর অর্থায়ন জটিলতায় যায় আরো পাঁচ বছর। কথিত দুর্নীতির অভিযোগে বিশ্ব ব্যাংক সরে যাওয়ার পর নিজস্ব অর্থায়নে সেতু নির্মাণের কাজ শুরু হয়। ২০১৫ সালের ১২ ডিসেম্বর সেতু অবকাঠামো নির্মাণ শুরু হয়। ২০১৭ সালের ৩০ সেপ্টেম্বর প্রথম স্প্যান বসেছিল। আজ ২০২০ সালের ১০ ডিসেম্বর সবকয়টি স্প্যান বসানোর কাজ শেষ হয়েছে। দৃশ্যমান হয়েছে ৬ দশমিক ১৫ কিলোমিটার দীর্ঘ পদ্মা সেতু। এ যেন বাংলাদেশের মানুষের একটি স্বপ্ন ভেসে উঠেছে পদ্মার বুকে।