জমিয়ত মহাসচিব আল্লামা কাসেমী আর নেই : জানাযায় মানুষের ঢল
বিশেষ সংবাদদাতা :
জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম বাংলাদেশ ও হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশের মহাসচিব, বরেণ্য শায়খুল হাদীস, জামিয়া মাদানিয়া বারিধারা ঢাকা’র প্রতিষ্ঠাতা পরিচালক আল্লামা নূর হোসাইন কাসেমী আর নেই। হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি ইন্তেকাল করেছেন (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)। রোববার (১৩ ডিসেম্বর) বেলা সোয়া একটার দিকে রাজধানীর ইউনাইটেড হাসপাতালে তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন।
আল্লামা কাসেমী’র ইন্তেকালের খবর ছড়িয়ে পড়লে সর্বত্র শোকের ছায়া নেমে আসে। সারা দেশ থেকে তার দলের নেতাকর্মী, ছাত্র, শুভাকাঙ্কি ও শুভানুধ্যায়ীরা তাকে শেষ বারের মতো দেখার জন্য রাজধানীতে আসতে শুরু করেন। পরদিন সোমবার (১৪ ডিসেম্বর) সকাল ৯টা ২০ মিনিটে বায়তুল মোকাররমে প্রাঙ্গনে তাঁর ছোট ছেলে মুফতি জাবের কাসেমীর ইমামতিতে নামাজে জানাযা অনুষ্ঠিত হয়। জানাজায় অংশ নিতে মানুষের ঢল নামে। ভোরেই লোকে লোকারণ্য হয়ে যায় বায়তুল মোকাররম ও আশপাশ এলাকা। ফজরের নামাজে অংশ নেন বিপুলসংখ্যক মুসল্লী।
জানাজার আগে আল্লামা কাসেমী’র জীবনের বিভিন্ন দিক নিয়ে সংক্ষিপ্ত আলোচনা করা হয়। এ সময় আলোচনা করেছেন- ঢাকা জামিয়া মাদানীয়া বারিধারার ভারপ্রাপ্ত মুহতামিম মাওলানা নাজমুল হাসান, জমিয়তে উলামায়ে ইসলামের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি আল্লামা জিয়া উদ্দিন, হেফাজতে ইসলামের আমির আল্লামা জুনায়েদ বাবুনগরী, কওমি শিক্ষা বোর্ড বেফাক ও আল-হাইয়া’র ভারপ্রাপ্ত সভাপতি আল্লামা শায়খ মাহমুদুল হাসান এবং কাসেমী’র ছোট ভাই মাওলানা আবদুল কুদ্দুস। তাঁরা আল্লামা নূর হোসাইন কাসেমী’র জীবনের নানা দিক নিয়ে কথা বলেন।
জানাযা শেষে তাকে ঢাকার আশুলিয়া বেড়িবাঁধসংলগ্ন ধউর গ্রামে অবস্থিত সুবহানিয়া মাদ্রাসায় দাফন করা হয়।
উল্লেখ্য, ঠান্ডা ও শ্বাসকষ্টজনিত জটিলতা হওয়ায় ১ ডিসেম্বর আল্লামা নূর হোসাইন কাসেমী রাজধানীর ইউনাইটেড হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। গত বৃহস্পতিবার দুপুর থেকে তাঁর শারীরিক অবস্থা বেশ খারাপ ছিল। শুক্রবার বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে তাঁর শারীরিক অবস্থা আরও খারাপ হতে শুরু করে। ওইদিন রাত আটটার দিকে তাঁর শরীরে অক্সিজেনের মাত্রা কমে গেলে তাঁকে নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ) নেওয়া হয়। করোনাভাইরাসের সংক্রমণ সন্দেহে তাঁর নমুনা পরীক্ষা করা হয়। ফল নেগেটিভ আসে।