প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতেও এক হতে পারল না দিরাই ছাত্রলীগ
দিরাই সংবাদদাতা :
বাংলাদেশ ছাত্রলীগের ৭৩তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতেও এক হতে পারেনি দিরাই উপজেলা ও কলেজ ছাত্রলীগ। এ অবস্থায় উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি পারভেজ রহমানের নেতৃত্বে একপক্ষ র্যালী, আলোচনা সভা করে প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী পালন করেছে। র্যালীটি দিরাই শহরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে উপজেলা পরিষদ রোডের আওয়ামী লীগ কার্যালয়ে আলোচনা সভার আয়োজন করে।
এতে উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি সুহেল আহমেদ, সিরাজ দৌলা, সাংগঠনিক সম্পাদক অ্যাডভোকেট অভিরাম তালুকদার, সদ্য নির্বাচিত দিরাই পৌরসভার মেয়র বিশ্বজিৎরায় সহ আওয়ামী লীগ, যুবলীগ ও ছাত্রলীগের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। পরে জন্মদিনের কেক কাটেন নেতৃবৃন্দ।
অপরদিকে উপজেলা ছাত্রলীগ সাধারণ সম্পাদক উজ্জল মিয়ার বলয়ের কলেজ ছাত্রলীগের আহবায়ক মারুফ আহমেদ জয়ের নেতৃত্বে র্যালী, আলোচনা সভার মাধ্যমে পৃথকভাবে প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী পালন করা হয়। র্যালীটি দিরাই শহরের গুরুত্বপূর্ণ সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে দিরাই পুরান বাজারের লঞ্চঘাটে আলোচনা সভা করে।
এতে মারুফ আহমেদ জয়ের সভাপতিত্বে ও মেহেদী হাসান চৌধুরীর সঞ্চালনায় সভায় উপস্থিত ছিলেন- দিরাই পৌরসভার মেয়র মোশাররফ মিয়া, আওয়ামী লীগ নেতা আরিফুজ্জামান চৌধুরী এহিয়া, মতিউর রহমান, আব্দুল মন্নান, যুবলীগ নেতা রুবেল সরদার, রায়হান মিয়া, ছাত্রলীগ নেতা মান্না তালুকদার লিমন, মেহেদী হাসান বিজয়সহ আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগ নেতৃবৃন্দ। সভা শেষে জন্ম দিনের কেক কাটেন নেতৃবৃন্দ।
আওয়ামী লীগের বয়োজ্যেষ্ঠ এক নেতা বলেন- ‘সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত জীবিত থাকতে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক প্রদীপ রায় এবং যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক বর্তমান মেয়র মোশাররফ মিয়ার মধ্যে কোনো বিরোধ ছিল না। মাঝে মাঝে সুরঞ্জিত বিরোধীরা একটু বিরোধীদের টু মারলে ও দক্ষ রাজনীতিবিদ সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত সবার সাথে পরামর্শ করে তাদের বিরোধীতার উপযুক্ত জবাব দিয়েছেন।’
প্রবীন ওই নেতা বলেন- ‘১৯৯৮ সালে সামাদ আজাদ-সুরঞ্জিত সেনগুপ্তের দুপক্ষের দিরাই বাজারের বন্ধুক যুদ্ধে তৎকালীন উপজেলা যুবলীগের সহ-সভাপতি নান্টু রায় নিহত হলে নান্টুর পরিবারের কেউ নান্টু হত্যা মামলার বাদী হতে সাহস না পেলেও সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত ও নান্টু পরিবারের প্রতি শ্রদ্ধাশীল হয়ে আসামীরা মেয়র মোশাররফ মিয়ার আত্মীয় হওয়া সত্ত্বেও তিনি মামলার বাদী হন।’
তিনি আরও জানান- গত উপজেলা নির্বাচন থেকে প্রদীপ-মোশাররফ বিরোধ শুরু। সদ্য সমাপ্ত পৌর নির্বাচনে প্রদীপ রায়ের ছোট ভাই বিশ্বজিৎ রায়ের কাছে নির্বাচনে হেরে যান মোশাররফ। এখন আমাদের দলের বড় দুর্দিন। নেতাকর্মী দুভাগ হয়ে গেছেন। আমরা যারা আজীবন বঙ্গবন্ধুর আদর্শের রাজনীতি করছি, কোনো সুযোগ সুবিধা নেইনি, আমরা এখন বিপদে আছি। আমাদের এমপি দলের বিরোধ মেটাতে কতটা সফল হবেন সেটাই এখন বড় ফ্যাক্ট।