কাদের মির্জাকে ‘বীরপুরুষ’ বললেন জয়নাল হাজারী
সময় সিলেট ডেস্ক :
আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরের ছোট ভাই বসুরহাট পৌরসভায় নৌকা মনোনীত মেয়রপ্রার্থী আবদুল কাদের মির্জার উত্তাপ ছড়ানো বক্তব্য এখন টক অব দ্য কান্ট্রি। সপ্তাহজুড়ে কেবল নোয়াখালী নয়, দেশের রাজনীতিক অঙ্গনে তার বক্তব্য নিয়ে চলছে নানা আলোচনা-সমালোচনা। হঠাৎ তিনি নির্বাচনী মাঠে কেন দলীয় নেতাদের সমালোচনা করে এই বক্তব্য দিয়ে যাচ্ছেন, তা নিয়েও চলছে নানা বিশ্লেষণ।
এরই মধ্যে বৃহস্পতিবার (৭ জানুয়ারি) রাতে ফেসবুক লাইভে এসে এই উত্তাপে ঘি ঢাললেন বহুল আলোচিত আরেক আওয়ামী লীগ নেতা জয়নাল আবেদীন হাজারী। আবদুল কাদের মির্জার বক্তব্যকে সমর্থন জানিয়ে আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের এ সদস্য বলেন- মির্জার ডিমোশন নয়, প্রমোশন হবে। মির্জাও আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কমিটিতে চলে আসতে পারেন। জননেত্রী শেখ হাসিনা সাহসী লোককে পছন্দ করেন। বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনা ন্যায়ের পক্ষে থাকেন। যারা ন্যায় কথা বলেন, তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেন না। বরং তাদের পুরস্কৃত করেন। ফরিদপুরের এমপি নিক্সন চৌধুরী আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য কাজী জাফরুল্লাহর নানা অন্যায়-অবিচারের সমালোচনা করে এবার যুবলীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য হয়েছেন।
আগামী ১৬ জানুয়ারি অনুষ্ঠেয় নির্বাচনে কাদের মির্জাকে হারাতে দলীয় কতিপয় নেতার বিরুদ্ধে চক্রান্তের অভিযোগ সত্য বলে মনে করেন জয়নাল হাজারী। তিনি বলেন- এবার কোনো ক্যাডার ওই এলাকায় গেলে ফিরে আসতে পারবে না। তিনি ফেনীবাসীকে কাদের মির্জা থেকে শিক্ষা নেয়ার আহ্বান জানিয়ে বলেন- আবদুল কাদের মির্জা একজন ‘বীরপুরুষ’। মির্জা প্রমাণ করেছেন দেশে এখনো বাকস্বাধীনতা রয়েছে। আছে সংবাদপত্রের স্বাধীনতা। আমার বিশ্বাস, তার বক্তব্যের কারণে বাংলাদেশের রাজনীতির দৃশ্য পরিবর্তন হয়েছে।
তিনি আবদুল কাদের মির্জা প্রসঙ্গে তার ভাই আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের সম্প্রতি দেয়া বক্তব্য প্রসঙ্গে বলেন- মির্জা দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গ করেননি। আপনাকে বা প্রধানমন্ত্রীকেও খারাপ বলেননি। তিনি দলে থাকা দুর্নীতিবাজদের বিচার চেয়েছেন। এ দুর্নীতিবাজরা আপনার ও নেত্রীর সুনাম নষ্ট করছে। পাপিয়াও তো দলের নেত্রী ছিল। সম্রাট-আরমানসহ অনেকের অপরাধ নজরে আসায় তারা আজ কারাগারে। তেমনি বৃহত্তর নোয়াখালীতেও দলের ভেতরে থাকা অপরাধীদের শাস্তি হবে বলে মনে করেন সাবেক এ সংসদ সদস্য।
তবে সব সাংবাদিকের সমালোচনা না করতে আবদুল কাদের মির্জাকে পরামর্শ দেন জয়নাল হাজারী। কারণ তার মতে, সব সাংবাদিক চাঁদা নেন না। অনেকেই পরিস্থিতির শিকার।