শ্রীমঙ্গলে হাতি দিয়ে দোকানে দোকানে চাঁদাবাজি : দেখার কেউ নেই!
শ্রীমঙ্গল সংবাদদাতা :
মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গল উপজেলার বিভিন্ন ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে হাতি দিয়ে দীর্ঘদিন ধরে চলছে চাঁদাবাজি।
বুধবার (২ মে) শহরের ভানুগাঁছ রোড, স্টেশন রোড, সোনার বাংলা রোড, কলেজ রোড, মৌলভীবাজার রোড ও হবিগঞ্জ রোডে হাতি দিয়ে দোকান থেকে টাকা তুলতে দেখা যায়।
সরজমিনে দেখা যায়- বড় একটি হাতির পিঠে বসে একজন হাতিটিকে পরিচালনা করছেন। হাতি তার শুঁড় দিয়ে দোকানীর কাছ থেকে টাকা নিয়ে উপরে বসে থাকা লোকটির হাতে তুলে দিচ্ছে। টাকা না দেওয়া পর্যন্ত দোকান থেকে হাতি সরছে না। আবার টাকা না দিলে দোকানের মালামাল নষ্ট করে দেয়ার দৃশ্যও দেখা গেছে।
শহরের ব্যবসায়ীরা জানান- দোকানে হাতি এনে চাঁদাবাজি করা হচ্ছে। দোকান প্রতি কমপক্ষে ২০ থেকে ৩০ টাকা করে আদায় করা হয়। হাতি দোকানের সামনে এসে দোকানিদের ভয় দেখিয়ে টাকা আদায় করা হয়। চাঁদার টাকা না দেওয়া পর্যন্ত সেখান থেকে হাতি সরানো হচ্ছে না।
চাহিদা অনুযায়ী টাকা না পেলে হাতির শুঁড় দিয়ে দোকানের মালামাল ফেলে দেওয়া হচ্ছে বলে তারা অভিযোগ করেন। এভাবে টাকা আদায়ের কারণে দোকানে বেচা-কেনায় সমস্যা হচ্ছে বলেও জানান তারা।
বিল্লাল হোসেন বলেন- ‘দুই-তিন মাস পরপর বিভিন্ন এলাকা থেকে আসা হাতি দিয়ে এখানে চাঁদাবাজি করা হচ্ছে। প্রশাসনিকভাবে বিষয়টি দেখার কেউ নেই।’
শহরের রাজা এ্যালুমোনিয়াম এর স্বত্বাধিকারী রাজা হোসেন বলেন- মঙ্গলবার রাতে মাহুত একটি হাতিকে নিয়ে আমার দোকানে আসে। মাহুত টাকা চাইলে আমি দেইনি। তখন হাতি দিয়ে আমার একটি লোহার করাই উপর থেকে নিচে ফেলে দেওয়ানো হয়। আমি দোকান থেকে বের হয়ে হাতির মাহুতকে হাতি থেকে নামতে বললে সে হাতি নিয়ে চলে যায়।
এদিকে হাতির মাহুত বলেন- হাতিকে খাবার টাকা না দিলে হাতি পাগল হয়ে যায়। তবে সে কাউকে ভয় দেখিয়ে টাকা তুলে না।
এ ব্যাপারে শ্রীমঙ্গল উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নজরুল ইসলাম বলেন- হাতি দিয়ে তো শহরের দোকানে এসে টাকা তুলার নিয়ম নেই। এটা গণউপদ্রোপ এর আওতায় পরে। আমি বিষয়টি খোঁজ নিয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিচ্ছি।