ঈদের সকালে খাবার নিয়ে ছিন্নমূলদের পাশে শায়েস্তাগঞ্জের ইউএনও
শায়েস্তাগঞ্জ সংবাদদাতা
দেশে করোনা মহামারীর কারণে ভিন্ন অবস্থার মাঝে ঈদুল আযহা পালন করেছেন শায়েস্তাগঞ্জ উপজেলাবাসী। এই মহামারীর সময়ে ছিন্নমূল মানুষদের চোখে-মুখে ঈদের আনন্দের বদলে ছিল কেবলই হতাশা। এমন বাস্তবতায় শায়েস্তাগঞ্জ রেল স্টেশনে ঈদ কাটিয়েছেন এমন অনেক ছিন্নমূল মানুষজন। যেখানে জীবীকার টানে ঈদের সময়ও এখানে-সেখানে ঘুরে কাটিয়েছেন তারা।
তাদের মুখে হাসি ফুটানোর জন্য ব্যতিক্রমী প্রয়াস ছিল শায়েস্তাগঞ্জ উপজেলা প্রশাসনের।
ঈদের দিন সকাল ৭টা। তখন কেউ কেউ ঘুম থেকে উঠেছেন, কেউবা ঘুমেই আছন্ন। এমন সাত সকালে বিরিয়ানির প্যাকেট নিয়ে এসব ছিন্নমুল মানুষদের কাছে হাজির হন শায়েস্তাগঞ্জ উপজেলার মানবিক ইউএনও মো. মিনহাজুল ইসলাম। পুরো রেলস্টেশন’সহ আশেপাশের ছিন্নমূল মানুষের হাতে নিজে গিয়ে পৌঁছে দিয়েছেন খাদ্যসামগ্রী।
অপ্রত্যাশিত খাবার পেয়ে প্রথমে অবাক হলেও এসব মানুষের চোখেমুখে ছিল রাজ্যের হাসি।
এদেরই একজন সিরাজুল ইসলাম খাবার পেয়ে অনুভূতি প্রকাশ করে বলেন- এত ভোরে ঈদের দিন কেউ খাবার নিয়ে আসবেন তিনি কল্পনা ও করেননি। তিনি বলেন- ‘আমাদেরকে নিয়ে ভাবে এমন মানুষ এখনও আছেন। কৃতজ্ঞতা জানানোর ভাষা নেই।’
আরেক ছিন্নমূল বৃদ্ধা ছালেকা বেগম অনুভূতি প্রকাশ করে জানান- সারারাত না খেয়েই ছিলেন। ঈদের দিন সকালে এত ভাল খাবার দিয়ে নাস্তা করবেন তিনিও আশা করেননি। যারা এমন নিরন্নদের মুখে খাবার তুলে দিয়েছেন আল্লাহ তাদেরকে যেন বাঁচিয়ে রাখেন, এমন দোয়া করেন তিনি।
শায়েস্তাগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার এমন মানবিক কাজে তাঁকে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রশংসার জোয়ারে ভাসিয়েছেন অনেকেই।
এ ব্যাপারে শায়েস্তাগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. মিনহাজুল ইসলাম জানান- ‘ঈদের দিন সকালে কিছু মানুষের মুখে হাসি ফুটানোর সুযোগ পেয়ে নিজেকে ভাগ্যবান বলে মনে করছি। আমি সবসময়ই চেষ্টা করি এসব মানুষের পাশে দাড়ানোর। মানুষ ও মানবতার কল্যাণেই শায়েস্তাগঞ্জ উপজেলা প্রশাসন কাজ করে যাবে এবং আমাদের এমন কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে।’