স্বামীর সঙ্গে ঝগড়া : কান্নায় ভেঙে পড়েন শিল্পা শেঠি
বিনোদন ডেস্ক
শিল্পা শেঠি–রাজ কুন্দ্রার বাড়িতে পুলিশি অভিযান চালানোর সময় সবার সামনেই স্বামীর সঙ্গে বাগ্বিতণ্ডায় জড়িয়ে যান এই বলিউড অভিনেত্রী। একপর্যায়ে তিনি কান্নায় ভেঙে পড়েন। পরিস্থিতি এমন হয় যে মুম্বাই পুলিশ হস্তক্ষেপ করতে বাধ্য হয়। এ সময় শিল্পা সাফ জানান- তিনি তাঁর স্বামীর পর্নোগ্রাফির সঙ্গে জড়িত থাকার বিষয়টি কিছুই জানেন না। এর সঙ্গে তিনি জড়িতও নন।
পর্নো ব্যবসার সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে গত সপ্তাহে রাজ কুন্দ্রাকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। বর্তমানে তিনি জেলে আছেন। তিনি হটশটস নামের একটি অ্যাপের মাধ্যমে পর্নো কনটেন্ট তৈরি এবং স্ট্রিমিংয়ের সঙ্গে জড়িত বলে অভিযোগ করা হয়েছে।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যমগুলো বলছে- ভারতীয় পুলিশের ক্রাইম শাখা যখন রাজের মুম্বাইয়ের বাড়িতে অভিযান চালায়, তখন শিল্পাকেও জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছিল। জিজ্ঞাসাবাদের পর শিল্পা খুব বিরক্ত হন। তাঁর এবং রাজ কুন্দ্রার মধ্যে একসময় তুমুল তর্ক বেঁধে যায়। এমনকি শিল্পা চিৎকার করে তাঁর স্বামীকে জিজ্ঞাসা করছিলেন, এমন কাজ করার কী দরকার ছিল? এরপর অপরাধ দমন শাখার দলকে অভিনেত্রীকে শান্ত করার জন্য দুজনের মধ্যে হস্তক্ষেপ করতে হয়েছে বলে জানা যায়। আরও জানা গেছে যে শিল্পা শেঠি কাঁদতে কাঁদতে পুলিশকে বলেছিলেন, তিনি রাজের অ্যাপের বিষয়ে জানতেন না।
একটি সূত্র জানিয়েছে- শিল্পা শেঠি তাঁর স্বামী রাজ কুন্দ্রার মুখোমুখি হয়েছেন এবং তাঁকে বলেছেন, এই কাজের জন্য কেবল পরিবারের নামই খারাপ হয়নি, সেই সঙ্গে বিপুল আর্থিক ক্ষতিও হয়েছে। জানা গেছে- মার্চ মাসে পর্নোগ্রাফি মামলায় আরও নয়জনকে গ্রেপ্তারের পরে রাজ ভেবেছিলেন, এবার তাঁকেও জেলে যেতে হবে। তাই তিনি বিভিন্ন তথ্য মুছে ফেলার চেষ্টা করেন এবং গা ঢাকা দেওয়ারও সুযোগ খোঁজেন।
পুলিশ জানিয়েছে- রাজ কুন্দ্রা মার্চ মাসে তাঁর ফোন পরিবর্তন করেছিলেন যাতে কোনো তথ্য উদ্ধার না করা যায়। ক্রাইম ব্রাঞ্চের কর্মকর্তারা যখন তাঁকে পুরোনো ফোন সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করেন, তখন তিনি তাঁদের বলেন যে সেটি তিনি ফেলে দিয়েছেন। পুলিশ তখনই অনুমান করে যে পুরোনো ফোনে অনেক গুরুত্বপূর্ণ প্রমাণ আছে!
গত ফেব্রুয়ারিতে রাজ কুন্দ্রার বিরুদ্ধে পর্নো ছবির ব্যবসা করার অভিযোগ করা হয়েছিল। কিন্তু পুলিশ রাজকে জেরার আগে এ–সম্পর্কিত সব তথ্যপ্রমাণ সংগ্রহ করে। এরপর ১৯ জুলাই রাতে মুম্বাই পুলিশের অপরাধ দমন শাখা জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তাঁকে ডেকে পাঠায়। প্রায় দুই ঘণ্টা জিজ্ঞাসাবাদের পর তাঁকে গ্রেপ্তার করে মুম্বাই পুলিশ।