লিবিয়ায় আটকে রেখে পরিবারের কাছে মুক্তিপণ দাবি : গ্রেপ্তার ২
স্টাফ রিপোর্টার
সংবাদ সম্মেলনে পুলিশ আবদুল মান্নান মিয়া বলেন- গ্রেপ্তার দুই ব্যক্তি আন্তর্জাতিক মানব পাচারকারী একটি চক্রের সদস্য।
গ্রেপ্তার দুজন হলেন কুমিল্লার চান্দিনা উপজেলার আটচাইল গ্রামের নাভিদ হাসান (২১) ও লেবাশ প্রধানিয়াবাড়ী গ্রামের কামাল হোসেন (৩৮)। সংবাদ সম্মেলনে তাঁদের হাজির করে পুলিশ। পুলিশের হাতে মানব পাচারকারী চক্রের ওই দুই সদস্য গ্রেপ্তার হওয়ার পর লিবিয়াপ্রবাসী দীপু হাসান জিম্মিদশা থেকে মুক্তি পান।
পুলিশ সুপার বলেন- নওগাঁ সদর উপজেলার সাহাপুর গ্রামের বাসিন্দা দীপু হোসেন (২৭) আট বছর ধরে লিবিয়ায় কর্মরত। ওই যুবক আরও উন্নত জীবনযাপনের আশায় লিবিয়া থেকে ইতালি যাওয়ার জন্য সম্প্রতি চেষ্টা শুরু করেন। সেখানে তাঁর সঙ্গে পরিচয় হয় মানব পাচারকারী চক্রের সদস্য লিবিয়াপ্রবাসী কুমিল্লার দুই ব্যক্তির সঙ্গে। ওই মানব পাচারকারীরা সাগরপথে ইতালি নিয়ে যাওয়ার কথা বলে লিবিয়ার কোনো এক অজ্ঞাতস্থানে আটকে রাখে এবং বাংলাদেশে তাদের চক্রের সদস্যদের মাধ্যমে দীপুর পরিবারের কাছ থেকে ২৫ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করে।
পুলিশ সুপার আরও বলেন- ১৪ আগস্ট দীপু বাংলাদেশে তাঁর পরিবারকে ফোন করে তাঁকে আটকে রাখার ও তাঁর ওপর নির্যাতনের কথা জানান। এরপর দীপুর বড় ভাই মতিউর রহমান গত সোমবার নওগাঁ সদর থানায় এ বিষয়ে লিখিত অভিযোগ দেন। ওই অভিযোগের ভিত্তিতে কুমিল্লা পুলিশের সহযোগিতায় ও তথ্যপ্রযুক্তি ব্যবহার করে মানব পাচারকারী চক্রের ওই দুই সদস্যকে কুমিল্লা থেকে গতকাল রাতে গ্রেপ্তার করা হয়। তাঁদের গ্রেপ্তারের তথ্য লিবিয়ায় পৌঁছালে মানব পাচারকারীরা দীপু হাসানকে জিম্মিদশা থেকে মুক্তি দেন।
পুলিশ সুপার বলেন- এ ঘটনায় লিবিয়াপ্রবাসী দীপুর বড় ভাই মতিউর রহমান বাদী হয়ে গ্রেপ্তার দুই যুবক, লিবিয়াপ্রবাসী মানব পাচারকারী চক্রের বাংলাদেশি দুই সদস্যসহ অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিদের আসামি করে নওগাঁ সদর থানায় মানব পাচার প্রতিরোধ ও দমন আইনে মামলা করেছেন। গ্রেপ্তার দুই যুবককে আজ আদালতে হাজির করে দুই দিনের রিমান্ড চাওয়া হবে।
আজ দুপুরের ওই সংবাদ সম্মেলনে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার এ কে এম মামুন চিশতী ও গাজীউর রহমান, নওগাঁ সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নজরুল ইসলাম, লিবিয়াপ্রবাসী দীপু হাসানের বড় ভাই মতিউর রহমান প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।