শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে পাঠ করতে হবে নতুন শপথবাক্য
সময় সিলেট ডেস্ক
যুগ যুগ ধরে শিক্ষার্থীরা বিদ্যালয়ে যে শপথবাক্য পাঠ করে আসছিল, তা বদলে দিয়েছে সরকার। মাধ্যমিক স্তরের সব শিক্ষার্থীকে এখন থেকে মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস সংবলিত জাতির পিতার আদর্শে উন্নত, সমৃদ্ধ ও অসাম্প্রদায়িক সোনার বাংলা গড়ার শপথ নিতে হবে।
শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে প্রাত্যহিক সমাবেশে জাতীয় সংগীত পরিবেশনের পর শিক্ষার্থীদের যে শপথবাক্য পাঠ করতে হবে, তা নির্ধারণ করে দিয়ে গত মঙ্গলবার (২৮ ডিসেম্বর) মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালককে চিঠি পাঠিয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগ। মাধ্যমিক স্তরের ইংরেজি মাধ্যম বা বিদেশি কারিকুলামে পরিচালিত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান’সহ সব সরকারি-বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীদের এই শপথ নিতে হবে।
নতুন শপথ : ‘জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে পাকিস্তানি শাসকদের শোষণ ও বঞ্চনার বিরুদ্ধে এক রক্তক্ষয়ী মুক্তিসংগ্রামের মধ্য দিয়ে বাংলাদেশ স্বাধীনতা অর্জন করেছে। বিশ্বের বুকে বাঙালি জাতি প্রতিষ্ঠা করেছে তার স্বতন্ত্র জাতিসত্তা। আমি দৃপ্তকণ্ঠে শপথ করছি যে, শহীদদের রক্ত বৃথা যেতে দেব না। দেশকে ভালোবাসবো, দেশের মানুষের সার্বিক কল্যাণে সর্বশক্তি নিয়োগ করব। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবের আদর্শে উন্নত, সমৃদ্ধ ও অসাম্প্রদায়িক চেতনার সোনার বাংলা গড়ে তুলব। মহান সৃষ্টিকর্তা আমাকে শক্তি দিন।’
এ বিষয়ে মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের উপসচিব (সরকারি মাধ্যমিক-১) আলমগীর হুছাইন বলেন- ‘শিক্ষার্থীরা এত দিন যে শপথবাক্য পাঠ করে আসছিল, তা এখনো পাঠ করবে কি না, সে বিষয়ে কোনো নির্দেশনা দেওয়া হয়নি। প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের নির্দেশনার আলোকে আমরা নতুন শপথবাক্য নির্ধারণ করে দিয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করেছি। মাদ্রাসা’সহ দেশের মাধ্যমিক স্তরের সব ধরনের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীদের এই শপথবাক্য পাঠ করাতে হবে।’
নতুন শপথ নির্ধারণ করে দেওয়ায় আগের শপথ বাদ দেওয়া হয়েছে কি না, তা স্পষ্ট করতে পারেননি মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক সৈয়দ মো. গোলাম ফারুক। তিনি বলেন- ‘এই শপথের পর অন্য কোনো নৈতিক বাক্য পাঠ করা যেতেই পারে, সেখানে কোনো বাধা নেই।’