‘মাটির চুলায় রান্না করে বছরে মারা যান ১৮ হাজার মানুষ’
সময় সংগ্রহ
গবেষণায় বলা হয়েছে- মাটির চুলা থেকে সৃষ্ট ধোঁয়ায় প্রতি বছর মৃত্যুবরণ করেন প্রায় ১৮ হাজার মানুষ।
বাংলাদেশে মাটির চুলায় রান্না মোটেও বিরল কিছু নয়। এখনও এদেশের গ্রামাঞ্চলে মাটির চুলায় গাছের পাতা-ডাল, কয়লা, কাঠ, ঘুঁটে ও খড় দিয়ে প্রতিদিনের খাবার রান্না হয়। যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক গবেষণা সংস্থা হেলথ ইফেক্টস ইনস্টিটিউটের এক গবেষণা ‘গ্লোবাল বার্ডেন অব ডিজিজ-মেজর এয়ার পলুশন সোর্সেস’ এর সুত্রে জানা গেছে- মাটির চুলা থেকে সৃষ্ট ধোঁয়ায় শুধু ২০১৭ সালেই মৃত্যুবরণ করেছেন প্রায় ১৮ হাজার মানুষ।
গেল ডিসেম্বরে প্রকাশিত হয়েছে এ প্রতিবেদনটি। প্রতিবেদনে বলা হয়- বাংলাদেশে বায়ুদূষণে গৃহস্থালি জ্বালানির ভূমিকা ২৮.২ শতাংশ। অপরদিকে, গৃহস্থালির কাজের বাইরে অন্যান্য ক্ষেত্রে ব্যবহৃত জ্বালানির বায়ুদূষণে অবদান ১৪.৪ শতাংশ। এদিকে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও) জানিয়েছে- রান্নার কারণে সৃষ্ট ধোঁয়ায় হৃদযন্ত্রের বিভিন্ন ধরনের অসুখ থেকে শুরু করে মস্তিষ্কের রক্তক্ষরণ, ফুসফুস ক্যানসার’সহ শ্বাসতন্ত্র মারাত্মক ক্ষতিগ্রস্থ হতে পারে।
প্রতিবেদনে আরও বলা হয়- যেহেতু বাংলাদেশে রান্নার কাজ বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই নারীরা করে থাকেন, তাই চুলার ধোঁয়ায় ক্ষতির ঝুঁকিতেও তারাই রয়েছেন বেশি। রান্নার ধোঁয়াকে বাংলাদেশের নারীদের স্বাস্থ্যের জন্য বড় হুমকি হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে এ প্রতিবেদনে।
বিশ্বজুড়ে চালানো এ গবেষণায় রান্না ও বাসস্থান উষ্ণ রাখতে জ্বালানি হিসেবে কাঠের ব্যবহারকে বায়ু দূষণের অন্যতম প্রধান কারণ বলা হয়েছে। বলা হয়েছে- গৃহস্থালীর দূষণে বিশ্বজুড়ে প্রতিবছর প্রায় ৭ লাখ ৪০ হাজার মানুষের মৃত্যু হয়। দক্ষিণ এশিয়া ও সাব-সাহারান আফ্রিকা অঞ্চলে প্রাণহানির সংখ্যা সবচেয়ে বেশি। গবেষণায় বলা হয়েছে- কয়লার মতো জীবাশ্ম জ্বালানির ব্যবহার কমানো গেলে বছরে ৭ লাখ ৭০ হাজার মানুষের মৃত্যু রোধ করা সম্ভব হবে।