নিজেদের অর্থেই হাওরে ধান তোলার সড়ক নির্মাণ করছেন কৃষকরা
সময় সংগ্রহ
রেজুওয়ান কোরেশী, জগন্নাথপুর (সুনামগঞ্জ) থেকে : সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুর উপজেলায় হাওরের ধান তুলতে কৃষকরা নিজেদের টাকায় একটি সড়ক নির্মাণ করছেন। গত ৬ বছর ধরে তারা সড়কের কিছু কিছু অংশ পাকাকরণ করে গেলেও সড়ক সংস্কারের সংশ্লিষ্ট কতৃপক্ষ কোন পদক্ষেপ নিচ্ছে না। ফলে কৃষকরা ক্ষুব্ধ।
কৃষকদের সাথে কথা বলে জানা গেছে— উপজেলার নলুয়ার হাওরের একাংশের ধান ঘরে তুলতে জগন্নাথপুর পৌর এলাকার ৯ নং ওয়ার্ডের শেরপুর এলাকা থেকে নলুয়ার হাওরের হরতাজপুর পর্যন্ত ৫ কিলোমিটার সড়ক পাকাকরণের জন্য দীর্ঘদিন ধরে স্থানীয় জনপ্রতিনিধি, রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ ও এলজিইডি দপ্তরে বার বার যোগাযোগ করে কোন সুফল পাননি। ২০১৭ সাল থেকে কৃষকরা তাদের নিজেদের অর্থায়নে সড়ক পাকা করণ কাজ শুরু করেন। গত ছয় বছর ধরে তারা কিছু কিছু অংশ করে কাজ চালিয়ে যাচ্ছেন।
চলতি বছর ৭ লাখ টাকা ব্যয়ে ৬০০ ফুট সড়ক পাকা করণের লক্ষ্যমাত্রা নিয়ে বৃহস্পতিবার থেকে কাজ শুরু করেছেন।
এবার কাজের শুরুতে উপস্থিত ছিলেন— হাওর বাঁচাও আন্দোলন জগন্নাথপুর উপজেলা কমিটির যুগ্ম আহ্বায়ক সাবেক কাউন্সিলর লুৎফুর রহমান, সাবেক কাউন্সিলর মঈন উদ্দিন, সাবেক কাউন্সিলর লালন মিয়া, বর্তমান কাউন্সিলর ছমির উদ্দিন, সমাজকর্মী জাহাঙ্গীর আলম, কৃষক পাখি মিয়া প্রমুখ।
হাওর বাঁচাও আন্দোলনের নেতা লুৎফুর রহমান জানান— দীর্ঘদিন ধরে হাওরের ফসল উত্তোলনের জন্য ডুবন্ত সড়ক নির্মানের জন্য স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরে যোগাযোগ করে প্রতিশ্রুতি ছাড়া কিছু পাইনি। নিরুপায় হয়ে কৃষকরা নিজেদের টাকায় সড়ক নির্মান কাজ শুরু করে চালিয়ে যাচ্ছেন।
তিনি বলেন— বর্তমান সরকারের আমলে জগন্নাথপুর সহ সারাদেশে ব্যাপক উন্নয়ন হলেও কৃষকরা উন্নয়নের অংশীদার হতে না পারায় ব্যতিত। তিনি দ্রুত ধান তোলার জন্য ডুবন্ত সড়ক নির্মানের জোর দাবি জানান।
জগন্নাথপুর পৌর সভার ৯ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর ছমির আলী বলেন— সড়কটি পৌর এলাকা থেকে শুরু হয়ে কলকলিয়া ইউনিয়নের গড়গাঁও মৌজা পর্যন্ত সীমানা। এ সড়কে পৌরসভার কাজ করার সুযোগ কম। তাই আমরা বার বার এলজিইডির মাধ্যমে ডুবন্ত সড়ক নির্মানের দাবি জানিয়ে আসছি।
স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর এলজিইডির জগন্নাথপুর উপজেলা প্রকৌশলী গোলাম সারোয়ার বলেন— সড়কটি এলজিইডির গেজেট ভূক্ত না থাকায় আমরা সড়কটি গেজেট ভূক্ত করতে মন্ত্রনালয়ে পাঠিয়েছি। গেজেট হলে আমরা প্রকল্প গ্রহণ করব।