শোকসভায় বক্তারা: পীর হাবিবুর রহমান সুনামগঞ্জকে সম্মানিত করেছেন
সময় সিলেট ডেস্ক
অনেকের হাতে কলম আছে, কিন্তু লিখতে পারেন না। সত্য লিখতে সাহস লাগে। পীর হাবিবুর রহমান দুই হাত খুলে লিখেছেন। তিনি মুক্তিযুদ্ধ, গণতন্ত্র, সত্য ও ন্যায়ের পক্ষে এবং পাকিস্তানপন্থা, সাম্প্রদায়িকতা ও জঙ্গিবাদের বিরুদ্ধে ছিলেন।
সুনামগঞ্জের বাসিন্দা সাংবাদিক পীর হাবিবুর রহমানের নাগরিক শোকসভায় বক্তারা এসব কথা বলেন। সুনামগঞ্জ পৌর শহরের সরকারি জুবিলী উচ্চবিদ্যালয় মাঠে আজ শুক্রবার বিকেলে এ শোকসভা হয়। এতে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের জাতীয় নেতারা বক্তব্য দেন। সভাপতিত্ব করেন সুনামগঞ্জ পৌরসভার মেয়র নাদের বখত।
বাংলাদেশ প্রতিদিনের নির্বাহী সম্পাদক ও কলামিস্ট পীর হাবিবুর রহমান (৫৯) গত ৫ ফেব্রুয়ারি ঢাকার একটি বেসরকারি হাসপাতালে মৃত্যুবরণ করেন।
শোকসভায় অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন- পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান, সাবেক তথ্যমন্ত্রী সাংসদ হাসানুল হক ইনু, কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের সভাপতি আবদুল কাদের সিদ্দিকী, নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনের সাংসদ শামীম ওসমান, জাতীয় পার্টির কেন্দ্রীয় মহাসচিব সাংসদ মুজিবুল হক চুন্নু, সুনামগঞ্জ-৫ আসনের সাংসদ মুহিবুর রহমান মানিক, সুনামগঞ্জ-১ আসনের সাংসদ মোয়াজ্জেম হোসেন রতন, সুনামগঞ্জ-৪ আসনের সাংসদ পীর হাবিবুর রহমানের ছোট ভাই পীর ফজলুর রহমান মিসবাহ, আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য আজিজুস সামাদ আজাদ, সাংবাদিক প্রণব সাহা, সাবেক ফুটবলার কায়সার হামিদ, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্র সংসদের সাবেক ভিপি রাগিব আহসান মুন্না, সুনামগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি সাবেক সাংসদ মতিউর রহমান, সুনামগঞ্জ জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও জেলা আওয়ামী লীগের জ্যেষ্ঠ সহসভাপতি নুরুল হুদা মুকুট, সুনামগঞ্জের জেলা প্রশাসক জাহাঙ্গীর হোসেন, পুলিশ সুপার মো. মিজানুর রহমান, যুক্তরাজ্য আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সাজিদুর রহমান, পীর হাবিবুর রহমানের বড় ভাই আইনজীবী-রাজনীতিবিদ মতিউর রহমান পীর, ছেলে আহনাফ ফাহমিন অন্তর, মেয়ে রাইসা নাজ চন্দ্রস্মিতা।
পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান বলেন- ‘স্বাধীনতার পক্ষের একজন কলমসৈনিক হিসেবে আমরা পীর হাবিবকে সব সময় স্মরণ করব। তিনি সুনামগঞ্জ অন্তঃপ্রাণ একজন মানুষ ছিলেন। জেলার মানুষের জন্য নিজ অবস্থান থেকে অনেক কাজ করেছেন।’
হাসানুল হক ইনু বলেন- অনেকেই রাজনীতি করেন, সাংবাদিকতা করেন, কিন্তু সত্য কথা বলতে পারেন না। এ ক্ষেত্রে পীর হাবিবুর রহমান ভিন্ন ছিলেন। তাঁর কলম থেকে আগুনের ফুলকি বের হতো। তাঁর সাংবাদিকতায় পক্ষপাত ছিল, তিনি ছিলেন সত্যের পক্ষে, নিপীড়িত মানুষের পক্ষে। এ জন্য হাজার হাজার মানুষ তাঁকে শ্রদ্ধা-ভালোবাসায় স্মরণ করছে। একজন কলমযোদ্ধা হিসেবে তিনি অমর হয়ে থাকবেন।
কাদের সিদ্দিকী বলেন- ‘পীর হাবিবুর রহমানের সাহসী লেখা আমাকে মুগ্ধ করত। তাঁর সব লেখা আমি পড়তাম, তাঁকে ভালোবাসতাম। তাঁর আরও অনেক দিন বেঁচে থাকা দরকার ছিল। তিনি আমাকে দাদা বলে ডাকতেন। তাঁর জন্য প্রার্থনা করতে সুনামগঞ্জে এসেছি।’