জাফলংয়ে পর্যটকদের উপর হামলার ঘটনায় আটক ৫
গোয়াইনঘাট সংবাদদাতা
সিলেটের জাফলংয়ে পর্যটকদের উপর হামলার ঘটনায় ৫ জনকে আটক করেছে পুলিশ। এছাড়া হামলাকারী তিন স্বেচ্ছাসেবককে বরখাস্থ করেছে প্রশাসন। তাদের বিরুদ্ধে আইনী ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে বলেও জানিয়েছেন গোয়াইনঘাট উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. তাহমিলুর রহমান।
আটককৃরা হলেন— গোয়াইঘাটের পন্নগ্রামের লক্ষ্মণ চন্দ্র দাস (২১), ইসলামপুর গ্রামের সেলিম আহমেদ (২১), নয়াবস্তি এলাকার সোহেল রানা, পশ্চিম কালীনগর গ্রামের নাজিম উদ্দিন, ইসলামপুর রাধানগর গ্রামের জয়নাল আবেদীন।
সিলেটের পুলিশ সুপার মো ফরিদ উদ্দিন জানান— ফেসবুকে ছড়িয়ে হামলার ঘটনার ভিডিও দেখে হামলাকারীদের শনাক্ত করে তাদের আটক করা হয়েছে।
সিলেটের গোয়াইনঘাট উপজেলায় অবস্থান দেশের অন্যতম পর্যটন এলাকা জাফলংয়ের। ঈদের ছুটিতে জাফলংয়ে প্রচুর সংখ্যক পর্যটক ভিড় করেছে। এদের কয়েকজনের উপরই বৃহস্পতিবার দুপুরে হামলা চালায় উপজেলা প্রশাসনের নিযুক্ত স্বেচ্ছাসেবকরা। এতে কয়েকজন আহত হয়েছেন।
জাফলং পর্যটন এলাকার টিকেট কাউন্টারের সামনে এ ঘটনা ঘটে। টিকিট কাটা নিয়ে কথা কাটাকাটি থেকে এই হামলা ঘটে বলে প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন। ঘটনায় সময়কার বেশকিছু ভিডিও ইতিমধ্যেই সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়েছে।
এরকম একটি ভিডিওতে দেখা যায়— স্বেচ্ছাসেবক লেখা নীল ইউনিফর্ম পরা ৩ জন হাতে লাঠি নিয়ে একদল পর্যটকদের বেধড়ক পেটাচ্ছেন। এ সময় ওই দলে থাকা কিছু নারী পর্যটক তাদেরকে থামাতে গিয়ে লাঞ্চিত হন।
গোয়াইনঘাটের উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. তাহমিলুর রহমান বলেন— ‘পর্যটকদের ওই দলটি টিকিট ছাড়াই জাফলং এলাকায় ঢুকতে চাইলে টিকিট কাউন্টারের এখানে থাকা স্বেচ্ছাসেবকদের সাথে কথা কাটাকাটি হয়। এর এক পর্যায়ে স্বেচ্ছাসেবকরা পর্যটকদের উপর হামলা চালায়।’
‘এই ঘটনা খুবই দুঃখজনক উল্লেখ করে তিনি বলেন— এতে আমাদের পর্যটনের অনেক ক্ষতি হলো। যেহেতু হামলাকারীরা আমাদের নিয়োজিত স্বেচ্ছাসেবক, তাই আমি দায় নিচ্ছি। ইতিমধ্যেই ৩ জন স্বেচ্ছাসেবককে বরখাস্ত করেছি এবং স্থানীয় পুলিশকে তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নিতে বলেছি।’