চলছে ভোটগ্রহন: কে হচ্ছেন বিয়ানীবাজারের নতুন মেয়র?
সময় সিলেট ডেস্ক
আজ নতুন মেয়র নির্বাচন করবে বিয়ানীবাজার পৌরবাসী। সিলেটের প্রবাসী অধূষিত এই পৌরসভায় ভোট আছে। কে হবেন এই পৌরসভার নতুন মেয়র এনিয়ে চলছে জল্পনা কল্পনা।
আজ (বুধবার) সকাল ৮ থেকে শুরু হবে ভোট গ্রহণ। বিকাল ৪টা পর্যন্ত ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন ইভিএমে একটানা ভোটগ্রহণ চলবে। সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচন উপহার দিতে সব ধরণের প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছে স্থানীয় নির্বাচন অফিস। নির্বাচনকে ঘিরে নেওয়া হয়েছে নিশ্চিদ্র নিরাপত্তা ব্যবস্থা। বিয়ানীবাজার পৌরসভার ৯টি ওয়ার্ডের ১০ কেন্দ্রে নিয়োজিত থাকবেন ৯ জন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট।
বিয়ানীবাজার পৌরসভার মোট ভোটার সংখ্যা ২৭ হাজার ৭৯৩ জন ভোটার। এবার এখানে মেয়রা প্রার্থী হয়েছেন ১০ জন। এরমধ্যে তিনজনই আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী। এ পৌরসভায় আওয়ামী লীগের প্রার্থী, সদ্য বিদায়ী মেয়র আব্দুস শুকুর।
অন্য নয় প্রার্থী হলেন— আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী স্বতন্ত্র প্রার্থী আহবাবুর রহমান সাজু (কম্পিউটার), আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী ফারুকুল হক (চামচ) ও আব্দুল কুদ্দুছ টিটু (হেলমেট), স্বতন্ত্র প্রার্থী প্রভাষক আব্দুস সামাদ আজাদ (হ্যাঙ্গার), মোহাম্মদ অজি উদ্দিন (নারিকেল গাছ) মোহাম্মদ আব্দুস সবুর (মোবাইল ফোন), সাবেক পৌর প্রশাসক তফজ্জুল হোসেন (জগ), জাতীয় পার্টির মনোনীত প্রার্থী মো. সুনাম উদ্দিন (লাঙল) এবং বাংলাদেশ কমিউনিস্ট পার্টির মনোনীত প্রার্থী মোহাম্মদ আবুল কাশেম (কাস্তে)।
ভোটারদের সাথে আলাপ করে জানা যায়— প্রচার-প্রচারণায় এগিয়ে ছিলেন চার প্রার্থী। তারা হলেন— আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী আব্দুস শুক্কুর (নৌকা), আওয়ামীলীগের বিদ্রোহী প্রার্থী সাবেক জিএস ফারুকুল হক (চামচ), সাবেক পৌর প্রশাসক তফজ্জুল হোসেন (জগ) ও স্বতন্ত্র প্রার্থী আব্দুস সবুর (মোবাইল ফোন)। এই চারজনের মধ্যেই মূল লড়াই হতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
নিজস্ব ভোট ব্যাংক, ব্যাক্তি ইমেজ আর আঞ্চলিকতায় এই চার প্রার্থীদের এগিয়ে থাকায় তাদের মধ্যে লড়াইয়ের আভাস দিচ্ছেন সাধারণ ভোটারা। তবে শেষ পর্যন্ত কে পৌরসভার দায়িত্ব পাবেন তা নির্ধারণ করবে নিরব ভোটার।
স্থানীয় নির্বাচন অফিস সূত্রে জানা গেছে— ভোটকেন্দ্রে হামলাসহ যে কোনো ধরনের অপ্রীতিকর পরিস্থিতি মোকাবেলায় নেওয়া হয়েছে কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থা। প্রতিটি ভোটকেন্দ্রে পুলিশ, র্যাব, বিজিবি ও আনসার সদস্যদের পাশাপাশি নিয়োজিত থাকবে সাদা পোশাকধারী গোয়েন্দা সংস্থার সদস্যরা। নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের নেতৃত্বে থাকবে স্ট্রাইকিং ফোর্সও। বিয়ানীবাজার সরকারি কলেজ ও বিয়ানীবাজার বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়- এই দুটি ভোটকেন্দ্রে একজন ম্যাজিস্ট্রেট নিয়োজিত থাকবেন। অন্য ৮টি কেন্দ্রের প্রতিটিতে একজন করে ম্যাজিস্ট্রেট নিয়োজিত থাকবেন। এছাড়া যেকোন ধরনের অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা রোধে পৌরসভার সকল প্রবেশপথে থাকবে পুলিশি চেকপোস্ট।
বিয়ানীবাজার থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) হিল্লোল রায় জানান— প্রতিটি কেন্দ্রে নিরাপত্তার জন্য বিপুল পরিমাণে পুলিশ মোতায়েন থাকবে। একইসাথে পৌরসভার সকল প্রবেশপথে তল্লাসি চৌকি বসানো হবে।
বিয়ানীবাজার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও সহকারি রিটার্নিং কর্মকর্তা মো. আশিক নূর জানান— ভোটগ্রহণের দিন প্রতিটি কেন্দ্রে বিপুলসংখ্যক আনসার, পুলিশ ও আমর্ড পুলিশ মোতায়েন থাকবে। হামলাসহ যে কোনো ধরনের অপ্রীতিকর পরিস্থিতি মোকাবেলায় স্ট্রাইকিং ফোর্স দায়িত্ব পালন করবে। এ লক্ষ্যে সব প্রস্তুতি গ্রহণ করা হয়েছে।