‘খাল-বিল ভরাটের কারণে বন্যায় বেশি ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে’
স্টাফ রিপোর্টার
দেশের খাল-বিল ভরাটের কারণে বন্যায় বেশি ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে মন্তব্য করে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন বলেন— বন্যা আমাদের জন্য একটি শিক্ষা। ছেলে বেলায় সবসময় বন্যা আসতো। সকালে বন্যা এলে বিকেলে বা পরদিন চলে যেত।
কিন্তু এবার দীর্ঘস্থায়ী হওয়ার কারণ এখন নদী-নালা ভরাট হয়ে গেছে। এগুলো সংস্কার করতে হবে। আগে পানি নামতে পারতো। কিন্তু খাল-বিলের ভরাটের কারণে বন্যায় বেশি ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।
তিনি বলেন— আমাদের ভাবতে হবে, যারা নগর পরিকল্পনাবিদ রয়েছেন, তারা কীভাবে এসব মোকাবিলা করা যায়।
রবিবার (১০ জুলাই) সকালে সিলেটের শাহী ঈদগাহ ময়দানে পবিত্র ঈদুল আযহার জামাত আদায় শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এসব কথা বলেন।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. একে আবদুল মোমেনের মতে— স্মরণকালের ভয়াবহ বন্যার পরও আমরা ভালো অবস্থানে আছি। আজকে আমাদের খুশির দিন। খুশির দিনে যে আমরা মোটামুটি বন্যাকে পরাস্ত করেছি। বন্যায় যারা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন, তাদের মোটামুটি ত্রাণসামগ্রী পৌঁছে দিয়েছি। সরকার ছাড়াও বহু ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠান বন্যার্তদের আন্তরিকভাবে সহযোগিতা করেছেন। এটা আমাদের জন্য বড় পাওয়া।
সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে ড. মোমেন বলেন— জাতিসংঘ কিংবা অন্যান্যরা আমাদের একটা টাকাও দেয়নি। তবে তারা কিছু সংস্থা বা পার্টনারদের মাধ্যমে দেয়। তারা যা বলে তা দেয় তা যথাযথ মানুষের কাছে পৌঁছে কিনা- আমরা তো মনিটরিং করতে পারি না। অবশ্য মনিটরিং করতে পারেন আপনারা। তাছাড়া আমাদের দেশে জনপ্রতিনিধি ও প্রশাসনের লোকজনের মাধ্যমে ত্রাণ সহায়তা দেওয়া হচ্ছে। ফলে দুর্নীতি হচ্ছে না।