কোম্পানীগঞ্জে ঈদের নামাজ পড়ে হাঁটুপানি মাড়িয়ে বাড়িতে ফেরেন মুসল্লিরা
সময় সংগ্রহ
সিলেটের কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার বিভিন্ন এলাকার পানি নেমে গেলেও কাঁঠালবাড়ি গুচ্ছগ্রামের পানি নামতে সময় লাগছে। ওই গ্রামের বাসিন্দারা এখনো উপজেলা সদরে নৌকা নিয়েই যাতায়াত করছেন।
গ্রামের বাসিন্দাদের বাসাবাড়ি থেকে পানি নেমে গেলেও চলাচলের পথগুলো এখনো পানির নিচে। গ্রামের মসজিদেও যাতায়াত করতে হচ্ছে পানি ডিঙিয়ে।
রবিবার (১০ জুলাই) ঈদের দিন সকালে কাঁঠালবাড়ি গুচ্ছগ্রাম কেন্দ্রীয় জামে মসজিদে অনুষ্ঠিত হয়েছে ঈদের জামাত। ঈদ জামাতে অংশ নিতে গ্রামের বাসিন্দারা পানি ডিঙিয়ে মসজিদে হাজির হয়েছেন। পরে ঈদের জামাত শেষে আবার হাঁটুপানি মাড়িয়ে নিজ ঘরে ফিরেছেন বিভিন্ন বয়সের মুসল্লি।
ওই গ্রামের কয়েকজন বাসিন্দা বলেন— উপজেলার বিভিন্ন এলাকার সড়কগুলো এখন পানিতে তলিয়ে নেই। এখন সব সড়ক শুকিয়ে গেছে। কিন্তু কাঁঠালবাড়ির সড়কটি এখনো পানির নিচে। গ্রামের বাসিন্দারা পানি মাড়িয়েই প্রতিবেশীর বাড়িতে যাওয়া–আসা করছেন। সেই সঙ্গে মসজিদেও হাঁটুপানি মাড়িয়ে চলাফেরা করতে হচ্ছে।
কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার ইসলামপুর পশ্চিম ইউনিয়নে কাঁঠালবাড়ি গুচ্ছগ্রাম। ওই গ্রামের বাসিন্দা সিরাজ মিয়া বলেন— দুই মাস আগে (মে মাসে) প্রথম বন্যায় পানি ঘরে না উঠলেও সড়ক প্লাবিত হয়েছিল। সে সময় ভোগান্তি কম ছিল। তবে এর এক মাস পর গত জুন মাসের বন্যার পানি হঠাৎ বেড়ে প্রবল স্রোতে ঘরবাড়িতে প্রবেশ করে। গ্রামের বাসিন্দাদের প্রায় প্রতিটি ঘরে নৌকা রয়েছে। বর্ষা মৌসুমে নৌকাই গ্রামের প্রধান বাহন। তবে ওই বন্যায় অনেকের নৌকা ভেসে গেছে।
ওই ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান শাহ মো. জামাল উদ্দিন বলেন— কাঁঠালবাড়ি গুচ্ছগ্রামের বাসিন্দারা ঈদের দিনেও হাঁটুপানি মাড়িয়ে মসজিদে গিয়ে নামাজ আদায় করেছেন। এলাকাটি একটু ভেতরের দিকে। সেই গ্রামের বিভিন্ন সড়ক এখনো পানির নিচে।