মালয়েশীয় তরুণীর সঙ্গে প্রেম : রাজশাহীতে এসে বিয়ে
রাজশাহী সংবাদদাতা

মালয়েশিয়ায় গিয়ে ভিসা জটিলতায় পড়েছিলেন রাজশাহীর এক তরুণ। সমাধান খুঁজতে গিয়ে ভিসা এজেন্সির এক তরুণীর সঙ্গে তাঁর পরিচয় হয়। তারপর প্রেম। সম্প্রতি মালয়েশিয়া থেকে রাজশাহীতে এসেছেন ওই তরুণী। বিয়েও করেছেন ওই তরুণকে। এখন শ্বশুরবাড়িতে ছোট ছোট বাংলা বাক্য শেখার চেষ্টা করছেন। ওই তরুণীর নাম আলিশা অ্যানি সিনড্রেলা (২৬)। আর তরুণের নাম জুলফিকার (২৭)।
জুলফিকারের বাড়ি রাজশাহী নগরীর বিনোদপুর এলাকায়। তাঁর বাবার নাম আবদুস সাত্তার। ২০১৫ সাল থেকে জুলফিকার মালয়েশিয়ায় আছেন। সেখানে পড়াশোনা শেষ করে চাকরির পাশাপাশি ব্যবসা করেন। সম্প্রতি চাকরি ছেড়ে ব্যবসায় মনোযোগ দিয়েছেন তিনি। ১৪ জুলাই গায়েহলুদ ও ১৫ জুলাই তাঁদের বিয়ে হয়। এখন চুটিয়ে রাজশাহীতে ঘুরে বেড়াচ্ছেন নব দম্পতি। আগামী মাসে তাঁরা আবার মালয়েশিয়ায় ফিরে যাবেন।
রাজশাহী কেমন লাগছে জানতে চাইলে আলিশা বলেন— তিনি যেমন আশা করেছিলেন তার চেয়েও বেশি ভালো। বাংলা শিখেছেন কি না, জানতে চাইলে তিনি বলেন, ছোট ছোট বাক্য শিখেছেন। কেমন আছ, ভালো আছ? ভাত খেয়েছ কি? ইত্যাদি। এখন আরও শেখার চেষ্টা করছেন।
জুলফিকার বলেন— তাঁর বাবা বেঁচে নেই। বিদেশি বউমা পেয়ে মা ফাইমা বেগম খুব খুশি। মায়ের সঙ্গে বেশির ভাগ সময় ইশারা-ইঙ্গিতে আলিশা ভাব বিনিময় করছে। পরিবারের সদস্যদের প্রতি আলিশা খুবই আন্তরিক।
জুলফিকার জানালেন— আলিশাকে তিনি স্যান্ড্রি বলে ডাকেন। আলিশা মালয়েশিয়ার একটি ভিসা এজেন্সিতে চাকরি করেন। বছর দুয়েক আগে মালয়েশিয়ায় কিছু বাংলাদেশি ভিসা–সংক্রান্ত জটিলতায় পড়েন। তখন তিনি তাঁদের পাসপোর্টগুলো আলিশাকে দিয়েছিলেন। আলিশা সেই সমস্যার সমাধান করে দেন। সেই থেকেই তাঁদের সম্পর্ক। কথা বলতে বলতে এক দিন তিনিই প্রেমের প্রস্তাব দেন। আলিশা রাজি হয়ে যায়। দুই বছর প্রেমের পর আলিশার ইচ্ছাতেই রাজশাহীতে এসে তারা বিয়ের পিঁড়িতে বসেন।
জুলফিকার প্রায় ছয় মাসে আগে দেশে ফেরেন। এর দুই মাস আগে তাঁরা বিয়ের সিদ্ধান্ত নেন। সিদ্ধান্ত মোতাবেক সম্প্রতি বাংলাদেশে আসেন আলিশা। ঈদের পর ১৪ জুলাই গায়েহলুদ ও পরের দিন তাঁদের বিয়ে হয়।
জুলফিকার বলেন— মানুষ হিসেবে তাঁর স্ত্রী খুবই ভালো। আলিশা আগে খ্রিষ্টান ছিলেন। বিয়ের আগে মুসলিম হন। মুসলিম রীতিতে তাঁদের বিয়ে হয়। এখন তাঁদের বাড়িতে আত্মীয়স্বজন, বন্ধুবান্ধবীদের ভিড়। আলিশা অনবরতই কথা বলে যাচ্ছেন। তিনি ভীষণ খুশি। জুলফিকারের সঙ্গে মালে ভাষায় এবং অন্যদের সঙ্গে ইংরেজিতে কথা বলছেন তিনি।




