গৃহহীনদের বাড়ি তৈরিতে সরকারকে ৬০ শতক জমি দান করলেন কৃষক
সুনামগঞ্জ সংবাদদাতা
নানা কৌশলে যখন সরকারি জমি দখল করা হচ্ছে তখন ভূমিহীন ও গৃহহীনদের জন্য বসতবাড়ি তৈরিতে নিজের ৬০ শতক জমি সরকারকে দান করলেন যতীন্দ্র চন্দ্র দে হারু নামের এক কৃষক।
যতীন্দ্র চন্দ্র দে সুনামগঞ্জের বিশ্বম্ভরপুর উপজেলার সলুকাবাদ ইউনিয়নের চেংবিল গ্রামের মৃত ললিত মোহন দে’র ছেলে। তিনি চার লাখ টাকা মূল্যের ফসলী জমি সুনামগঞ্জের জেলা প্রশাসকের নামে দলিলের মাধ্যমে দান করে দিয়েছেন।
বুধবার (২৭ জুলাই) বিকেলে উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) আসমা বিনতে রফিকের হাতে জমির দলিল হস্তান্তর করেন তিনি। এ সময় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. সাদি উর রহিম জাদিদ, সলুকাবাদ ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান নুরে আলম সিদ্দিক তপন’সহ স্থানীয় গণ্যমান্য লোকজন উপস্থিত ছিলেন।
জমিদাতা যতীন্দ্র চন্দ্র দে হারু বলেন— ‘মুজিব শতবর্ষ উপলক্ষে সরকার ভূমিহীন ও গৃহহীনদের বসতবাড়ি তৈরি করে দিচ্ছে। আমাদের এলাকায়ও সরকার ভূমিহীন ও গৃহহীনদের আধাপাকা বাড়ি তৈরির উদ্যোগ নিয়েছে। কিন্তু বাড়ির জন্য উপযুক্ত জমি পাওয়া যাচ্ছিল না। ইউএনও’র অনুরোধে আমি ৬০ শতক জমি সরকারকে দান করে দিয়েছি।’
বিশ্বম্ভরপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তি মো. সাদি উর রহিম জাদিদ বলেন— ‘ভূমিহীন ও গৃহহীনদের জন্য সরকারিভাবে বাড়ি তৈরি করতে উপযুক্ত জমি পাওয়া যাচ্ছিল না। তখন যতীন্দ্র চন্দ্র দে’কে বিষয়টি বুঝিয়ে অনুরোধ করলে তিনি জেলা প্রশাসক বরাবরে ৬০ শতক জমি দলিলের মাধ্যমে দান করে দেন। তার দানকৃত জমিতে রাস্তাসহ ২৪টি ভূমিহীন ও গৃহহীন পরিবারের জন্য বাড়ি নির্মাণ করা হবে।’
সুনামগঞ্জের জেলা প্রশাসক মো. জাহাঙ্গীর হোসেন বলেন— ‘বিশ্বম্ভরপুরে চেংবিল গ্রামের যতীন্দ্র চন্দ্র দে’র সরকারকে জমি দানের বিষয়টি মহৎ উদ্যোগ ও অত্যন্ত প্রশংসার দাবিদার। তার এই জমি পাওয়ায় ২৪ টি পরিবার এখন পাকা বাড়িতে মাথা গোজার ঠাঁই পাবে। যতীন্দ্র দে’র মত যদি বিত্তশালীরা সরকারকে সহযোগিতা করতেন তাহলের সরকারের উন্নয়নমূলক কর্মকাণ্ড আরও প্রসারিত হত।’