বিশ্বম্ভরপুরে নিখোঁজ এসএসসি পরীক্ষার্থীর সন্ধানের দাবিতে মানববন্ধন

সুনামগঞ্জের বিস্বম্ভরপুরে ৭ দিন ধরে নিখোঁজ পলাশ উচ্চবিদ্যালয়ের এসএসসি পরীক্ষার্থী মেধাবী ছাত্রী লায়লা সোবহান ঝিলিকের দ্রুত উদ্ধারের দাবিতে বৃহস্পতিবার সকালে ছাত্রছাত্রী ও এলাকাবাসীরা মানববন্ধন ও রাস্তা অবরোধ কর্মসূচি পালন করেছে।

এদিকে নারী ও শিশু পাচারকারী চক্রের সদস্যের খপ্পরে পরে মেধাবী ছাত্রী লায়লা সোবহান ঝিলিক নিখোঁজের আজ ৮ দিন পেরিয়ে গেলেও বিশ্বম্ভরপুর থানা পুলিশ উদ্ধার করতে না পাড়ায় অত্র বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ও এলাকাবাসীর আয়োজনে মানববন্ধনের পাশাপাশি তাহিরপুর সুনামগঞ্জ সড়কে অবরোধ কর্মসূচি পালন করে।

পরীক্ষার্থী ঝিলিকের দ্রুত সন্ধানের দাবিতে হাজারো শিক্ষার্থী ও এলাকাবাসীর অংশগ্রহণে বৃহস্পতিবার (২৮ জুলাই) দুপুরে পলাশ উচ্চবিদ্যালয় সংলগ্ন তাহিরপুর-বিশ্বম্ভরপুর-সুনামগঞ্জ সড়কে ঘন্টাব্যাপী মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন— পলাশ উচ্চবিদ্যালয়ের ব্যবস্থাপনা কমিটির সভাপতি জুলহাস মিয়া, নিখোঁজ ছাত্রী লায়লা সোবহান ঝিলিকের চাচা সাবেক সদস্য আব্দুল মালেক, বিশ্বম্ভরপুর উপজেলা যুবদলের যুগ্ম আহবায়ক আলমগীর হোসেন, বিশ্বম্ভরপুর উপজেলা কৃষক লীগ সভাপতি হুমায়ুন কবির, সাবেক ইউপি সদস্য আমেনা খাতুন, বাবা আব্দুস সোবহান, সহপাঠী মিফাহুল জান্নাত মিলি, মুনতাহ জান্নাত কলি, তাহমিনা আক্তার রিপতা, প্রিতুল দাস, আবু সাইম।

মানববন্ধনে এ সময় বক্তারা বলেন— ২৪ ঘন্টার মধ্যে নিখোঁজ এসএসসি পরীক্ষার্থী লায়লা সোবহান ঝিলিককে তাদের কাছে ফিরিয়ে না দিলে শুধু মানববন্ধনেই নয় প্রয়োজনে স্কুলের শিক্ষক ও ছাত্রছাত্রীসহ এলাকাবাসীকে সাথে নিয়ে রাস্তায় নেমে রাস্তাঘাট অবরোধ করা হবে।

এ সময় তারা আরও বলেন— ঝিলিককে দ্রুত উদ্ধার করে এসএসসি পরিক্ষায় অংশ গ্রহণে সুযোগ করে দিতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর প্রতি জোর দাবি জানান। মানববন্ধনে ছাত্রছাত্রী ও এলাকাবাসী তাহিরপুর টু সুনামগঞ্জ সড়ক অবরোধ করে রাখে।

উল্লেখ্য যে, বৃহস্পতিবার সকাল ৭ টায় ঝিলিক নিজ বাড়ি থেকে প্রাইভেট পড়তে মাঝাইড় গ্রামের আনুফা মাষ্টারে বাড়িতে যাওয়ার পথে সুনামগঞ্জ সদর উপজেলার গৌরারং ইউনিয়নের লক্ষ্মণশ্রী গ্রামের সাজ্জাদুর রহমান সাঞ্জু মিয়ার মেয়ে নারী ও শিশু পাচারকারী চক্রের সদস্য সুমা আক্তার শাহজাদী (২৫) এর খপ্পরে পরে নিখোঁজ হয় ঝিলিক।

নারী ও শিশু পাচারকারী চক্রের সদস্য শাহজাদীর মামা বোন সৌদিআরব প্রবাসী রুপ নাহার নামের এক মহিলার যোগসাজশে দীর্ঘদিন ধরে অপ্রাপ্ত বয়স্ক শিশু ও কিশোরীদের বিভিন্ন প্রতারণার মাধ্যমে লোভে ফেলে নারী ও শিশু পাচার করে আসছে।

২২ জুলাই দুপুরে ঝিলিকের চাচা আব্দুল মালেক বাদী হয়ে সুমা আক্তার শাহজাদী নাম উল্লেখ করে বিশ্বম্ভরপুর থানা একটি সাধারণ ডায়রী করেন। কিন্তু সাধারণ ডায়রী করার ৮ দিন পেরিয়ে গেলেও বিশ্বম্ভরপুর থানা পুলিশ ওই স্কুল ছাত্রীকে উদ্ধার কর‍তে না পারায় ঝিলিকের পরিবার কাটছে ভয় আর উৎকণ্ঠার মধ্যে।

এদিকে নিখোঁজ স্কুলছাত্রী ঝিলিককে উদ্ধারে পুলিশের পাশাপাশি ২৫ জুলাই বিকালে র‍্যাব-৯, সিপিসি-৩ (সুনামগঞ্জ)-এ একটি লিখিত আবেদন করেন ঝিলিকের বড় ভাই কামাল হোসেন।