আমেরিকার কেন্টাকি রাজ্যে ভয়াবহ বন্যা : বাড়ছে মৃতের সংখ্যা
আন্তর্জাতিক সময়
যুক্তরাষ্ট্রের কেন্টাকি রাজ্যে বন্যার ফলে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি ও প্রাণহানির খবর পাওয়া যাচ্ছে৷ এই বিপর্যয় সামলাতে কর্তৃপক্ষ হিমশিম খাচ্ছে৷ পরিস্থিতি সম্পর্কে সার্বিক ধারণা পেতে কয়েক সপ্তাহ সময় লাগবে বলে কর্তৃপক্ষ আশঙ্কা করছে।
কেন্টাকি নদীর পানি আচমকা ফুলেফেপে উঠে জনপদ ডুবিয়ে দিয়েছে৷ অনেক মানুষ বাধ্য হয়ে বাড়ির ছাদ বা গাছের ওপর আশ্রয় নিয়েছে।
সোমবার কেনটাকির গভর্নর জানিয়েছেন— শেষ পাওয়া হিসেব অনুযায়ী কেনটাকিতে এখনও পর্যন্ত ৩৭ জনের মৃত্যু হয়েছে। এর মধ্যে বেশ কিছু শিশুও আছে। কিন্তু এই সংখ্যা যেকোনো সময় বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন তিনি। কারণ, শতাধিক মানুষ এখনও নিখোঁজ। গভর্নর জানিয়েছেন— ঘটনায় অন্তত ১২ হাজার পরিবার ক্ষতিগ্রস্ত। বহু পরিবার গৃহহীন। তাদের স্থানীয় চার্চ, মোবাইল বাড়িতে রাখা হয়েছে। তৈরি করা হয়েছে বেশ কিছু ক্যাম্প। ক্যাম্পে এই মুহূর্তে প্রায় ৩০০ মানুষ আছেন বলে জানিয়েছেন তিনি।
কেনটাকিতে এখনও বৃষ্টি হচ্ছে। তাই উদ্ধারকাজে সমস্যা হচ্ছে। গভর্নর জানিয়েছেন— ব্রিজ ভেঙে পড়েছে, রাস্তা ধসে গেছে। বহু বাড়ি জলের স্রোতে ভেসে গেছে। এই ক্ষতি সারাতে বহু দিন সময় লেগে যাবে। তবে সরকার সবরকম সাহায্য করবে।
এদিকে এই পরিস্থিতির মধ্যে ফাঁকা বাড়িতে লুটতরাজ শুরু হয়েছে। যে কারণে দুইটি কাউন্টিতে রাতে কারফিউ জারি করা হয়েছে। গভর্নর জানিয়েছেন— কারফিউ ঘোষণার কোনো ইচ্ছা তার ছিল না। কিন্তু যেভাবে লুটপাট শুরু হয়েছে, তাতে তার আর কোনো উপায় ছিল না।
বাড়িঘরের সঙ্গে স্কুল, দোকানপাটও জলের স্রোতে ভেসে গেছে বলে স্থানীয় মানুষ সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন। ঘটনায় বহু শিশু মৃত এবং নিখোঁজ রয়েছে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন— পালানোর সময় বাবা-মায়ের হাত ছেড়ে ভেসে গেছে বহু শিশু। এক বছর থেকে আট বছর বয়সে এমন বেশ কিছু শিশুর মৃতদেহ উদ্ধার হয়েছে।
গভর্নরের বক্তব্য— গত কয়েকদশকের মধ্যে এমন ভয়াবহ বন্যা তারা কখনো দেখেননি। কীভাবে এই ভয়বহতা কাটবে, তা এখনো তাদের অজানা।
সূত্র : ডয়চে ভেলে, রয়টার্স, বিবিসি