রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনে থাইল্যান্ড ও আসিয়ানের সক্রিয় ভূমিকা চেয়েছে বাংলাদেশ
স্টাফ রিপোর্টার
বাংলাদেশে আশ্রয় নেওয়া, মিয়ানমারে রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর দ্রুত ও টেকসই প্রত্যাবাসন নিশ্চিত করার জন্য, থাইল্যান্ড ও আসিয়ানের আরও সক্রিয় ভূমিকা চেয়েছেন বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন। ড. মোমেন আগামী মাসে ঢাকায় ইন্ডিয়ান ওশান রিম অ্যাসোসিয়েশনের (আইওআরএ) মন্ত্রী পর্যায়ের বৈঠকে থাইল্যান্ডের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ও উপ-প্রধানমন্ত্রীকে অংশগ্রহণের অনুরোধ জানিয়েছেন।
রবিবার (৩০ অক্টোবর) বাংলাদেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে, থাইল্যান্ডের স্থায়ী সচিব (মনোনীত) সারুন চারোয়েনসুওয়ান, আব্দুল মোমেনের সঙ্গে দেখা করার সময় এসব বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়।
সাক্ষাতকালে তারা বাংলাদেশ ও থাইল্যান্ডের মধ্যে কূটনৈতিক সম্পর্কের ৫০ বছর পূর্তি উপলক্ষে শুভেচ্ছা বিনিময় করেন। এ সময় পররাষ্ট্রমন্ত্রী মোমেন বলেন— “সকলের সঙ্গে বন্ধুত্ব, কারও সঙ্গে বিদ্বেষ নয়; এই মূল পররাষ্ট্রনীতির লক্ষ্যে বাংলাদেশ সব প্রতিবেশি দেশের সঙ্গে সৌহার্দ্যপূর্ণ ও বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক বজায় রাখতে দৃঢ় প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।”
এই অঞ্চলে বৃহত্তর সংযোগ সুবিধার মাধ্যমে একটি শক্তিশালী এবং আরও কার্যকর আঞ্চলিক সহযোগিতা গঠনের গুরুত্বের ওপর জোর দেন ড. মোমেন। তিনি দুই দেশের অর্থনীতির মধ্যে বিদ্যমান পরিপূরক কাজে লাগাতে পারস্পরিক স্বার্থে উদ্যোগ ও সহযোগিতার আহ্বান জানান। আর, বাংলাদেশের পর্যটন খাতের উন্নতির জন্য আরও থাই সহায়তার অনুরোধ করেন।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী মোমেন দুই দেশের অর্থনৈতিক সম্পর্ক-কে আরও গভীর করতে, বাংলাদেশের অবকাঠামো উন্নয়ন উদ্যোগ, কৃষি প্রক্রিয়াকরণ খাত, স্বাস্থ্য ও ওষুধ খাতে থাই বিনিয়োগকে উৎসাহিত করেন।
থাই স্থায়ী সচিব বাংলাদেশের চলমান উচ্চ প্রবৃদ্ধি এবং ব্যাপক উন্নয়নমূলক কর্মকান্ডের প্রশংসা করেন; বলেন— “এগুলো বাংলাদেশকে দ্রুত বদলে দিচ্ছে।”
পারস্পরিক সুবিধাজনক সময়ে যৌথ কমিশন সভা করার পরও তিনি জোর দেন। এছাড়াও দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্য ও ব্যবসাকে আরও শক্তিশালী করার জন্য একটি এফটিএ সম্পন্ন করার পরামর্শ দেন থাইল্যান্ডের স্থায়ী সচিব (মনোনীত) সারুন চারোয়েনসুওয়ান।