ইউক্রেনের শস্য রপ্তানী স্থগিত করে রাশিয়া ‘খাদ্যকে অস্ত্র হিসেবে ব্যবহার করছে’
আন্তর্জাতিক সময়
জাতিসংঘের মধ্যস্থতায় হওয়া শস্য রপ্তানী চুক্তিটি রাশিয়া স্থগিত করেছে। ঐ চুক্তির ফলে ৯০ লক্ষ টনেরও বেশি শস্য ইউক্রেন থেকে বাইরে পাঠানো সম্ভব হয়েছে, যার ফলে বৈশ্বিক খাদ্য সংকট লাঘবে ও মূল্য হ্রাসে সহায়তা হয়।
এই চুক্তি থেকে বেরিয়ে আসার জন্য রাশিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রক, অধিকৃত ক্রাইমিয়ার উপকূলে অবস্থান করা রাশিয়ার কৃষ্ণ সাগর নৌবহরে ইউক্রেনের এক তথাকথিত ড্রোন হামলাকে দায়ী করেছে। রাশিয়া বলে— ঐ হামলাটি শনিবার দিনের শুরুর দিকে চালানো হয়; হামলার কথা অস্বীকার করেছে ইউক্রেন।
যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিংকেন এক বিবৃতিতে বলেন— “এই চুক্তি স্থগিত করার মাধ্যমে, রাশিয়া আবারও তাদের আরম্ভ করা যুদ্ধটিতে খাদ্যকে অস্ত্র হিসেবে ব্যবহার করছে, যার ফলে নিম্ন ও মধ্য আয়ের দেশগুলো এবং বৈশ্বিক খাদ্যমূল্য সরাসরি প্রভাবিত হবে, এবং ইতোমধ্যেই শোচনীয় মানবিক সংকট ও খাদ্য অনিরাপত্তা বৃদ্ধি পাবে।”
ব্লিংকেন বলেন যে— যুক্তরাষ্ট্র “রাশিয়ার সরকারকে [অনুরোধ করছে] যাতে তারা এই উদ্যোগে অংশগ্রহণ আবার শুরু করে, চুক্তিটি পুরোপুরি মেনে চলে, এবং বিশ্ব জুড়ে মানুষজন যাতে এই উদ্যোগের ফলে পাওয়া সুফল ভোগ করা অব্যাহত রাখতে পারে, তা নিশ্চিত করতে কাজ করে।
জাতিসংঘ প্রধান অ্যান্টোনিও গুতেরেস, রাশিয়া ও ইউক্রেনকে শস্য চুক্তিটি নবায়ন করতে অনুরোধ করার একদিন পরই রাশিয়া এমন ঘোষণা দিল।
রবিবার ডেলাওয়্যারে সাংবাদিকদের সাথে আলাপকালে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন, ইউক্রেনের শস্য চুক্তিতে অংশগ্রহণ স্থগিত করার রাশিয়ার ঘোষণাটিকে “সম্পূর্ণরূপে আপত্তিকর” হিসেবে ব্যাখ্যা করেন এবং বলেন যে এটি অনাহার বৃদ্ধি করবে।
বাইডেন বলেন— “তারা যা করছে তার কোনই যুক্তি নেই। জাতিসংঘ এই চুক্তি মধ্যস্থতা করেছে এবং সেখানেই কথা শেষ হয়ে যাওয়া উচিৎ ছিল।”
শনিবার করা এক মন্তব্যে, জাতিসংঘের মুখপাত্র স্টিফেন দুজারিচ জানান— এই বিষয়ে জাতিসংঘ রুশ কর্তৃপক্ষের সাথে যোগাযোগ করছে।