বিনোদন পার্কে নারীদের প্রবেশ নিষিদ্ধ করল তালিবান
আন্তর্জাতিক সময়
আফগানিস্তানে বিনোদন পার্কে নারীদের প্রবেশ সম্পূর্ণভাবে নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছে তালিবান। এর আগে জনসাধারণের জন্য উন্মুক্ত স্থানে নারীদের প্রবেশাধিকার কমিয়ে ফেলার নির্দেশ জারি করা হয়। এবার সেই সীমিত অনুমতি পুরোপুরি তুলে নেওয়া হলো। বুধবার (৯ নভেম্বর) আফগানিস্তানের ‘নৈতিক পুলিশ’ সব ধরনের বিনোদন পার্কে নারীদের প্রবেশ নিষিদ্ধের নির্দেশ দেয়।
২০২১ সালে ক্ষমতা ফিরে পাওয়ার পর জনজীবনে একের পর এক নিষেধাজ্ঞা জারি করে আসছে তালিবান। নতুন এই নির্দেশের ফলে আফগান নারীদের স্বাধীনতা আরো কমে গেল।
আফগানিস্তানের প্রোপাগেশন অব ভার্চু অ্যান্ড প্রিভেনশন অব ভাইস মন্ত্রণালয়ের (এমপিভিপিভি) একজন মুখপাত্র বলেন— বিনোদন পার্কে এখন থেকে নারীরা যেতে পারবেন না।
পার্কের দুজন কর্মী নাম প্রকাশ না করার শর্তে সংবাদ সংস্থা রয়টার্সকে বলেন— তালিবানরা পার্কে নারীদের প্রবেশ করতে দেওয়ার ব্যাপারে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে।
এর আগে, এমপিভিপিভি এসব পার্কে যাওয়ার ক্ষেত্রে নারী-পুরুষের জন্য ভিন্ন ভিন্ন দিন নির্ধারণের নির্দেশ দেয়। ওই নির্দেশে জনসাধারণের যাওয়ার বিভিন্ন স্থান যেমন পার্ক, খোলা জায়গা ও গণ-স্নানাগারের কথা বলা হয়।
গত বছর ন্যাটো বাহিনী আফগানিস্তান ছাড়লে তালিবানদের ক্ষমতায় প্রত্যাবর্তনের পথ সহজ হয়। তখন থেকে দেশটিতে মাধ্যমিক শিক্ষা থেকে বঞ্চিত হয়ে আসছে আফগান মেয়েরা। মার্চ মাসে মেয়ে শিক্ষার্থীদের জন্য আলাদা স্কুল খোলার কথা থাকলেও সেরকম কিছুই করেনি দেশটির বর্তমান কর্তৃপক্ষ।
শিক্ষা, কর্ম এবং স্বাধীনতার জন্য নারীর অধিকার বিষয়ক কর্মীদের দমন করে আসছে তালিবান। এর আগে, দেশটিতে পুরুষ আত্মীয় ছাড়া নারীদের বাড়ির বাইরে যাওয়া নিষিদ্ধ এবং নারীদের মুখ ঢেকে রাখা বাধ্যতামূলক করা হয়। গুটিকয়েক পদ ছাড়া প্রায় সব সরকারি চাকরির পদ থেকেও নারীদের অপসারণ করা হয়।
আগস্ট মাসে জাতিসংঘের একটি রিপোর্ট জানায়— আফগানিস্তানে নারীদের জন্য পরিস্থিতি ক্রমে বিপজ্জনক ও হতাশাজনক হয়ে পড়ছে। এর ফলে নারীদের মধ্যে আত্মহত্যার প্রবণতাও বেড়ে গেছে।
সূত্র : ডয়চে ভেলে