বিপিএল শুরু : চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্সকে হারিয়ে সিলেট স্ট্রাইকার্সের শূভ সূচনা
স্পোর্টস রিপোর্টার
সিলেট স্ট্রাইকার্সের অধিনায়ক মাশরাফি বিন মুর্তজার সঙ্গে টস করতে নামলেন চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্স অধিনায়ক শুভাগত হোম। বিপিএলের প্রথম ম্যাচের টস হলো বেলা ১-৩০ মিনিটে, মানে খেলা শুরু হবে বেলা ২টায়। অথচ ঘণ্টা খানিক আগপর্যন্তও এ ম্যাচ শুরুর সময় ছিল দুপুর ২-৩০ মিনিট!
সময়-বিভ্রাটের বিতর্ককে সঙ্গী করেই তাই শুরু হলো বিপিএলের নবম মৌসুম। উদ্বোধনী ম্যাচে চট্টগ্রামকে হারিয়ে শূভ সূচনা করেছে সিলেট। নবম আসরের প্রথম ম্যাচে চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্সকে ৮ উইকেটে হারাল সিলেট স্ট্রাইকার্স।
বিপিএলের মিরপুর পর্ব মানেই মন্থর উইকেট আর কম রানের খেলা। নতুন আসরের প্রথম ইনিংসেও দেখা গেল সেই চেনা চিত্র। ধীরগতির ও অসম বাউন্সের উইকেটে দুর্দান্ত বোলিং উপহার দিলেন রেজাউর রহমান রাজা ও মোহাম্মদ আমির। সঙ্গে যোগ হলো ব্যাটসম্যানদের বাজে প্রদর্শনী। সব মিলিয়ে চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্স আটকে গেল অল্পতেই। বড় জয়ে বিপিএল শুরু করল সিলেট স্ট্রাইকার্স।
অথচ এর আগের আসরগুলোতে বিপিএল মানেই ছিলো সিলেট দলের ব্যর্থতা। এবার সিলেটের নেতৃত্ব দিচ্ছেন মাশরাফি বিন মুর্তজা। আর তার হাত ধরেই সিলেটের ভাগ্য বদলানোর মিশন শুরু হলো জয়ে।
বিপিএলের আগের ৮ আসরের মধ্যে ৭টিতে খেলেছে সিলেট। এই সাত আসরে ভিন্ন পাঁচ মালিকানায় পাঁচ নামে খেলেছে সিলেট। এর মধ্যে তাদের সর্বোচ্চ সাফল্য দ্বিতীয় আসরের সেরা চারে খেলা। বাকি ছয় আসরে প্রথম পর্বেই শেষ ছিলো সিলেটের দৌড়। এবার প্রথম ম্যাচে জয় তুলে সিলেটের আঁধার কাটানোর ইংগিত দিলেন মাশরাফি।
মিরপুর শের-ই-বাংলা স্টেডিয়ামে শুক্রবার ২০ ওভারে চট্টগ্রাম তুলতে পারে স্রেফ ৮৯ রান। সিলেট জিতে যায় ৪৫ বল হাতে রেখেই।
টস হেরে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৯ উইকেট হারিয়ে ৮৯ রান সংগ্রহ করে চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্স। জবাবে ৪৫ বল হাতে রেখে ৮ উইকেটের বড় জয় পায় সিলেট স্ট্রাইকার্স।
ব্যাট করতে নেমে শুরুতেই উইকেট হারায় চট্টগ্রাম। দলীয় ১১ রানে মেহেদী মারুফের উইকেট হারায় চ্যালেঞ্জার্স। ১৪ বলে ১১ রান করে আউট হন তিনি। এরপর ৯ বলে ৩ রান করে ফেরেন দারউইশ রসুলি। দলীয় ২২ রানে ৭ বলে মাত্র ১ রান করে আউট হয় অধিনায়ক শুভাগত। এরপর আল আমিন ও আফিফ মিলে চাপ সামাল দেওয়ার চেষ্টা করে। তবে দলীয় ৪৪ রানে ২০ বলে ১৮ রান করে আউট হন আল আমিন।
এরপর ক্রিজে এসেই প্যাভিলিয়নে ফেরেন উসমান খান। নিচের দিকের আর কোনো ব্যাটসম্যান ডাবল ডিজিট স্পর্শ করতে না পারায় ৮৯ রানের দলীয় ইনিংস নিয়ে মাঠ ছাড়তে বাধ্য হয় চট্টগ্রাম।
সিলেটের পক্ষে বল হাতে সবচেয়ে বেশি সফল ছিলেন রেজাউর রাজা। এই টাইগার পেসার ১৪ রানের বিনিময়ে ৪ উইকেট শিকার করেছেন। এ ছাড়াও মোহাম্মদ আমির ৪ ওভারে মাত্র ৭ রানের বিনিময়ে নিয়েছেন ২ উইকেট। লম্বা সময় পর মাঠে নামা মাশরাফি ৪ ওভারে মাত্র ১৮ রান দিয়ে নিয়েছেন ১ উইকেট। এছাড়া কলিন আকারম্যান এক উইকেট নিয়েছেন।
জবাবে ইনিংসের তৃতীয় ওভারেই উইকেট হারায় সিলেট স্ট্রাইকার্স। দলীয় ১২ রানে ওপেনার কলিন অ্যাকারম্যানকে সাজঘরে ফেরান পেসার মৃত্যুঞ্জয় চৌধুরী। তবে এরপর শুরুর ধাক্কা সামলে নেন ওয়ান ডাউনে নামা জাকির হোসেন ও ওপেনার নাজমুল শান্ত। জয় থেকে ১৫ রান দূরে থাকতে আউট হন জাকির হোসেন। ২১ বলে ২৭ রান করে সাজঘরে ফেরেন তিনি।
শেষ পর্যন্ত মুশফিক-শান্তর ব্যাটে ৭ ওভার ৩ বল হাতে রেখে ৮ উইকেটের বড় জয় পায় সিলেট স্ট্রাইকার্স। ৩ চার ও ১ ছয়ে ৪৩ রান করে অপরাজিত থাকেন শান্ত। মুশফিক ৮ বলে ৬ রান করে অপরাজিত থাকেন। চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্সের পক্ষে মৃত্যুঞ্জয় চৌধুরী ও মালিন্দা পুষ্পকুমারা নেন ১টি করে উইকেট।