বিএনপির আমলে চলচ্চিত্র শিল্প মুখ থুবড়ে পড়েছিল: সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী
সময় সিলেট ডেস্ক
সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ বলেছেন— ভালো কাহিনী, চিত্রনাট্যের অভাব ও প্রয়োজনীয় পৃষ্ঠপোষকতা না পাওয়াসহ নানা কারণে চলচ্চিত্র শিল্প সংকটে পতিত হয়েছিল। তাছাড়া ২০০১-২০০৬ সাল মেয়াদে মৌলবাদীদের আগ্রাসনে এ শিল্প মুখ থুবড়ে পড়েছিল। তবে বর্তমান সরকারের নানামুখী উদ্যোগ ও প্রচেষ্টায় চলচ্চিত্র শিল্পে সুদিন ফিরেছে।
শুক্রবার বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির জাতীয় নাট্যশালা মিলনায়তনে ‘তৃতীয় বাংলাদেশ চলচ্চিত্র উৎসব ২০২৩’ এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন— বর্তমান সরকার চলচ্চিত্র শিল্পের উন্নয়নে যুগান্তকারী পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে। তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের অধীন এ শিল্পের উন্নয়নে এক হাজার কোটি টাকার তহবিল গঠন করা হয়েছে। তাছাড়া সংস্কৃতিবিষয়ক মন্ত্রণালয় প্রতি উপজেলায় যে সাংস্কৃতিক কেন্দ্র স্থাপনের উদ্যোগ নিয়েছে তাতেও থাকছে আধুনিক সিনেপ্লেক্স।
প্রতিমন্ত্রী আরো বলেন— চলচ্চিত্র শিল্পের এমন একটি মাধ্যম যেটি খুব দ্রুত মানুষকে প্রভাবিত করতে পারে। চলচ্চিত্র শিল্পের সংকট উত্তরণকালে বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমি আয়োজিত তৃতীয় বাংলাদেশ চলচ্চিত্র উৎসব আয়োজন এক অসাধারণ পদক্ষেপ।
বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির মহাপরিচালক লিয়াকত আলী লাকীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন— অভিনেতা ও বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির সভাপতি ইলিয়াস কাঞ্চন, চলচ্চিত্র নির্মাতা ও শিক্ষক হায়দার রিজভী এবং শামীম আখতার।
তৃতীয় বাংলাদেশ চলচ্চিত্র উৎসবে পাঁচটি ভিন্ন ক্যাটাগরিতে যথাক্রমে সমকালীন চলচ্চিত্র, নারী নির্মাতাদের চলচ্চিত্র, মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক চলচ্চিত্র, ধ্রুপদী চলচ্চিত্র এবং আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত বা পুরস্কার প্রাপ্ত চলচ্চিত্রের মধ্য থেকে সিলেকশন কমিটি কর্তৃক বাছাইকৃত মোট ৩৬টি চলচ্চিত্র প্রদর্শিত হবে। এর মধ্যে ২৩টি সমকালীন চলচ্চিত্র ও ১৩টি অন্যান্য ক্যাটাগরির চলচ্চিত্র রয়েছে।