আন্তর্জাতিক বিশ্ব বলছে বাংলাদেশে গণতন্ত্র নেই: ড. মোশাররফ
সময় সিলেট ডেস্ক
দেশের স্বার্থে বর্তমান সরকারের বিদায় জরুরি বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন।
তিনি বলেন— রাজপথের শান্তিপূর্ণ গণআন্দোলনের মাধ্যমে গণঅভ্যুত্থান সৃষ্টি করে আওয়ামী লীগ সরকারকে বিদায় করা হবে। যত দ্রুত তাদের বিদায় করতে পারবো, বাংলাদেশের জন্য ততই মঙ্গল।
রাজধানীর রমনায় ইঞ্জিনিয়ার্স ইন্সটিটিউট মিলনায়তনে সোমবার মহান শহীদ দিবস ও আন্তর্জাতিক ভাষা দিবস উপলক্ষে বিএনপির উদ্যোগে আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
সভায় দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর সভাপতিত্ব করার কথা থাকলেও হঠাৎ অসুস্থ হয়ে গুলশানের ইউনাইটেড হাসপাতালে চিকিৎসাধীন থাকায় তিনি অনুপস্থিত ছিলেন।
দলের প্রচার সম্পাদক শহিদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানি ও সহ প্রচার সম্পাদক আমিরুল ইসলাম খান আলিমের পরিচালনায় আরও বক্তব্য দেন-স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস, ড. আবদুল মঈন খান, নজরুল ইসলাম খান, সেলিমা রহমান, বিএনপি নেতা আমান উল্লাহ আমান, আবদুস সালাম, আবদুল হাই, কবি মাহবুব হাসান, আনম ফজলুল হক সৈকত প্রমুখ।
মোশাররফ হোসেন বলেন— দুঃখজনক হলেও সত্যি ভাষা আন্দোলন বা মুক্তিযুদ্ধের চেতনা, গণতন্ত্র এদেশে বারবার হত্যা হয়েছে। প্রথম হত্যা হয়েছে আজকে যারা ক্ষমতায় আছে এই আওয়ামী লীগ যখন স্বাধীনতার পর ক্ষমতায় ছিল তখন। তারা গণতন্ত্রকে হত্যা করেছে একদলীয় বাকশাল করে। আজকে আবার এই আওয়ামী লীগ ক্ষমতায়, ১৪ বছর গায়ের জোরে ক্ষমতায় থাকার জন্য তারা গণতন্ত্রকে হত্যা করেছে।
তিনি বলেন— ‘আন্তর্জাতিক বিশ্ব বলছে, বাংলাদেশে গণতন্ত্র নেই। দেশের জনগণের পাশাপাশি আন্তর্জাতিক বিশ্বও বাংলাদেশে গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার দেখতে চায়।’
আওয়ামী লীগ মুক্ত চিন্তা রুখতে গণমাধ্যমের স্বাধীনতায় বারবার হস্তক্ষেপ করেছে বলে অভিযোগও করেন খন্দকার মোশাররফ।
তিনি বলেন— প্রথম ১৯৭৫ সালের ১৬ জুন নিউজ পেপারস সংশোধনী অ্যাক্ট করে সারা দেশে সকল সংবাদপত্র বন্ধ করে দিয়ে ৪টি সংবাদপত্র রেখেছিল। হাজার হাজার সাংবাদিক বেকার হয়েছিল। দ্বিতীয়বার যখন আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় এল শেখ হাসিনার নেতৃত্ব ১৯৯৯ সালে টাইমস-দৈনিক বাংলা ট্রাষ্ট্রের চারটি পত্রিকা বন্ধ করে দিল। তারপরে দেখলাম, ২০১০ সালে ২৭ এপ্রিল চ্যানেল ওয়ান বন্ধ করে দিল। ২০১৩ সালে দৈনিক আমার দেশ বন্ধ, ২০১৩ সালে দিগন্ত টেলিভিশন, ইসলামিক টেলিভিশন বন্ধ। সর্বশেষ ২০২৩ সালের ১৯ ফেব্রুয়ারি দৈনিক দিনকাল তারা (সরকার) বন্ধ করে দিয়েছে।
ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ সরকারের সমালোচনা করে মির্জা আব্বাস বলেন— বাংলাভাষায় প্রকাশিত দৈনিক দিনকাল পত্রিকা কেন বন্ধ করে দেওয়া হলো? হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে তিনি বলেন— পাকিস্তানের ইয়াহিয়া, আইয়ুবসহ কোনো কর্তৃত্ববাদী শাসক এই দেশে টিকে থাকতে পারেনি। শুধুমাত্র সময়ের ব্যাপার-এই সরকারও টিকে থাকতে পারবে না।
নজরুল ইসলাম খান বলেন— সামনে লড়াই করা ছাড়া কোনো বিকল্প নেই। তা হবে গণতন্ত্র পুনপ্রতিষ্ঠার লড়াই, শান্তিপূর্ণ গণঅভ্যুত্থান সৃষ্টির লড়াই। সেলিমা রহমান বলেন, দেশ চলছে এক ব্যক্তির ইশারায়। এভাবে কোনো দেশ চলতে পারে না।