সিলটী নাগরী ভাষাকে দ্বিতীয় রাষ্ট্রভাষার স্বীকৃতির দাবিতে স্মারকলিপি
সংবাদ বিজ্ঞপ্তি
বর্ণমালা সমৃদ্ধ প্রাচীন সিলটী নাগরী ভাষাকে বাংলাদেশের দ্বিতীয় রাষ্ট্র ভাষার স্বীকৃতির দাবিতে সিলেট বিভাগের ন্যায্য দাবি দাওয়া আদায়ের লক্ষ্যে গঠিত অরাজনৈতিক সংগঠন সিলটি পাঞ্চায়িত কমিটির উদ্যোগে মঙ্গলবার (২১ মার্চ) দুপুর সিলেটের জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বরাবরে স্মারকলিপি দেওয়া হয়েছে।
সিলেটের জেলা প্রশাসকের পক্ষে স্মারকলিপি গ্রহণ করেন— অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা ও আইসিটি) এ.এস.এম কাসেম।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন— দুর্নীতি মুক্তকরণ বাংলাদেশ ফোরামের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক মকসুদ হোসেন, সিলেট বিভাগ গণদাবী ফোরামের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি চৌধুরী আতাউর রহমান আজাদ অ্যাডভোকেট, সিলটী পাঞ্চায়িত কমিটির সাধারণ সম্পাদক মো. তাজ রীহান জামান অ্যাডভোকেট, বদরুল আহমদ চৌধুরী অ্যাডভোকেট, সাংবাদিক চৌধুরী দেলওয়ার হোসেন জিলন, নেপাল চন্দ্র চন্দ অ্যাডভোকেট, সিলটি পাঞ্চায়িত নেতা কবি কামাল আহমদ, চৌধুরী সামিউর রহমান সায়েম অ্যাডভোকেট, বাউল ফকির আলাউদ্দিন জালালী, শিক্ষানবীশ আইনজীবী আনিকা তাইসিন, আবু তাহের লিটন, নাঈম আহমদ, দ্বিজেন্দ্র লাল শর্মা প্রমুখ।
স্মারকলিপিতে বলা হয়— বাংলাদেশে বাংলা বর্ণমালার পাশাপাশি বর্ণমালা সমৃদ্ধ প্রাচীন সিলটি নাগরী ভাষা আজ বিলুপ্তির পথে। অথচ এই ভাষাতে শক্তিশালী সাহিত্য রচিত হয়েছে। এছাড়াও ইতোমধ্যে নাগরী লিপি নিয়ে কয়েকটি পিএইডি গবেষণাও হয়েছে। সিলেট বিভাগের ১ কোটি ২০ লাখ লোক ও ভারতে সমান সংখ্যক মানুষের মধ্যে নাগরী ভাষার প্রচলন রয়েছে। অত্যন্ত দুঃখ ও পরিতাপের বিষয় আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইন্সটিটিউট কর্তৃপক্ষ দেশের অন্যান্য উপজাতিদের ভাষা সমৃদ্ধ করার লক্ষ্যে উপজাতি এলাকায় প্রাথমিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে একটি বই তাদের মাতৃভাষায় পাঠ্যসূচিতে অন্তর্ভুক্ত রয়েছে।
নাগরী বর্ণমালা বিশিষ্ট সিলেটী নাগরী ভাষাকে বাংলা ভাষার পর দ্বিতীয় রাষ্ট্রীয় ভাষা হিসেবে আপনার পক্ষ থেকে স্বীকৃতি দেয়া হলে বৃহত্তর সিলেট অঞ্চল ও কোটি কোটি নাগরী ভাষাপ্রেমিক জনগণ আপনাকে হৃদয়ের মণিকোঠা স্থান দিবে ইনশাআল্লাহ।
পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে রাষ্ট্রীয় ভাবে দ্বিতীয় ভাষার স্বীকৃতি আছে। যেমন আমেরিকার দ্বিতীয় রাষ্ট্রভাষা স্পেনিশ, কানাডার ফ্রেঞ্চ। তাই সিলেটের প্রাচীন ভাষা নাগরীকে বাংলাদেশের দ্বিতীয় রাষ্ট্র ভাষা হিসেবে স্বীকৃতি প্রদানে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণে প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার কাছে জোর দাবি জানানো হয় স্মারকলিপিতে।