সাংবাদিক শওকত মাহমুদকে বিএনপি থেকে বহিস্কার
সময় সিলেট ডেস্ক
বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের (বিএনপি) ভাইস চেয়ারম্যান সাংবাদিক শওকত মাহমুদকে দল থেকে বহিস্কার করা হয়েছে। মঙ্গলবার (২১ মার্চ) দলটির পক্ষ থেকে ভাইস চেয়ারম্যান পদ’সহ সাধারণ সদস্য পদ থেকেও তাকে বহিষ্কার করা হয়।
বিএনপির সহ-দপ্তর সম্পাদক তাইফুল ইসলাম স্বাক্ষরিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়— দলীয় শৃঙ্খলা পরিপন্থী কাজে জড়িত থাকার সুনির্দিষ্ট অভিযোগে দলের নেতৃত্ব শওকত মাহমুদকে বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান ও প্রাথমিক সদস্য পদসহ সব পর্যায়ের পদ থেকে তাকে বহিষ্কার করা হয়েছে।
‘ন্যাশনাল কমিটি ফর সিভিল রাইটস জাতীয় ইনসাফ কায়েম কমিটি’ নামে একটি সংগঠনের ব্যানারে ১৬ মার্চ আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে অন্তর্বর্তীকালীন জাতীয় সরকার গঠন এবং সেই সরকারকে বাংলাদেশের নতুন সংবিধান প্রণয়ন ও তার অধীনে জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠানের দাবি জানানো হয়।
সংগঠনটির আহ্বায়ক লেখক ও এনজিও ব্যক্তিত্ব ফরহাদ মজহার এবং সদস্য সচিব সাংবাদিক শওকত মাহমুদ।
উল্লেখ্য, সাংবাদিক শওকত মাহমুদ দুই দফা জাতীয় প্রেসক্লাবের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক ছিলেন। বিএনপি সমর্থিত ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নেরও সভাপতি ও সম্মিলিত পেশাজীবী পরিষদের ভারপ্রাপ্ত সভাপতির দায়িত্বও পালন করেছেন।
২০০৯ সালে তিনি বিএনপির রাজনীতির সঙ্গে সরাসরি যুক্ত হন। দলে যোগ দিয়েই চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা কাউন্সিলের সদস্য হয়ে যান। ২০১৬ সালে ষষ্ঠ জাতীয় কাউন্সিলে শওকত মাহমুদকে দলের ভাইস চেয়ারম্যান করে বিএনপি। বিএনপির রাজনীতিতে যুক্ত হওয়ার পর শওকত মাহমুদ ২০১৫ সালে গ্রেপ্তার হয়ে একবছরের বেশি সময় কারাবাস করেন। তার বিরুদ্ধে ৬০টির বেশি মামলা রয়েছে।
শওকত মাহমুদকে এর আগে একাধিক বার কারণ দর্শানোর নোটিশ দেয় বিএনপি। সবশেষ ২০২২ সালের এপ্রিলে পেশাজীবী সমাজের ব্যানারে একটি সমাবেশ ডেকে সরকার পতনের আহ্বানের পটভূমিতে দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গের অভিযোগ এনে তাকে কারণ দর্শাতে বলা হয়। এছাড়া ২০২০ সালের ডিসেম্বর এবং ২০১৯ সালেও তাকে এমন নোটিশ দেয়া হয়।
জাতীয়তাবাদী মুক্তিযোদ্ধা দল ও পেশাজীবী পরিষদের ব্যানারে শওকত মাহমুদের নেতৃত্বে কর্মসূচি পালন করায় তাকে এসব কারণ দর্শানোর নোটিশ দেয়া হয়। অভিযোগ আনা হয়, এসব কর্মসূচিতে বিএনপির নাম ব্যবহার করা হলেও বাস্তবে দলের কোনো সংশ্লিষ্টতা ছিলো না।