শাবির ছাত্রীদের আবাসনের বিষয়ে দায় এড়াচ্ছেন বিভাগীয় প্রধানরা
সংবাদ সংগ্রহ :
আগামী ১৭ জানুয়ারির মধ্যে হল বন্ধ রেখে পরীক্ষা কার্যক্রম শুরু করতে যাচ্ছে শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়। বিশ্ববিদ্যালয়ের ১৬২তম একাডেমিক কাউন্সিল মিটিংয়ে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
মিটিংয়ের সিদ্ধান্ত অনুসারে, বিশ্ববিদ্যালয়ের হল সমূহ না খুললেও ছাত্রীদের আবাসনের সমস্যায় সংশ্লিষ্ট বিভাগ কর্তৃপক্ষকে সহযোগিতার কথা বলা হয়। কিন্তু একাডেমিক কাউন্সিলের এ সিদ্ধান্তকে বৃদ্ধাঙ্গলি দেখিয়ে নিজেদের উপর অর্পিত দায়িত্ব এড়িয়ে যাচ্ছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন বিভাগীয় প্রধান। এমনকি বিভাগ কোন প্রতিষ্ঠান খুলে বসে নি কিংবা বিভাগের দ্বারা সরাসরি এ সমস্যা সমাধান করা সম্ভব নয় বলে মন্তব্য করেন অনেক বিভাগীয় প্রধান।
নিজ বিভাগের ছাত্রীদের আবাসন সমস্যা সমাধানে কতটুকু প্রস্তুতি নিয়েছেন জানতে চাইলে সমাজবিজ্ঞান বিভাগের প্রধান অধ্যাপক ড. লায়লা আশরাফুন বলেন- বিশ্ববিদ্যালয়ের আবাসন ব্যবস্থার সাথে আমি জড়িত না। আর বিভাগ তো কোন আবাসন প্রতিষ্ঠান না। যদি আমার বিভাগের কোন নারী শিক্ষার্থী আবাসন সংক্রান্ত সমস্যায় পড়ে তখন আমি তাদেরকে প্রভোস্ট বরাবর রেফার করবো। আর একাডেমিক কাউন্সিলে বিভাগকে দায়িত্ব নেওয়ার বিষয়টা কথা প্রসঙ্গে চলে এসেছে।
এ বিষয়ে ফুড ইঞ্জিনিয়ারিং এন্ড টি টেকনোলজি বিভাগের প্রধান অধ্যাপক ড. জিএম রবিউল ইসলাম বলেন- সরাসরি বিভাগ কর্তৃপক্ষের পক্ষে আবাসন সমস্যা সমাধান করা সম্ভব নয়। আর এটা বিভাগের দায়িত্বের মধ্যেও পড়ে না। মেয়েরা কোথায় বাসা ভাড়া নিবে অথবা না নিবে এটা দেখার দায়িত্ব আমাদের বিভাগের না। বিশ্ববিদ্যালয়ের দায়িত্ব তো ভাগ করে দেওয়া। প্রভোস্টরা আবাসনের দিকটা দেখবে, ছাত্র উপদেষ্টা শিক্ষার্থীদের পরামর্শ দিবে। তিনি আরো বলেন- মানবিক দিকটা বিবেচনা করে যেসব নারী শিক্ষার্থী আবাসন সংক্রান্ত সমস্যায় পড়বে তাদের তথ্য নিতে পারি। তারপর এই তথ্য আমরা বিশ্ববিদ্যালয় রেজিস্ট্রার বরাবর প্রেরণ করতে পারি।
বিষয়টি সম্পর্কে জানতে লোক প্রশাসন বিভাগের প্রধান অধ্যাপক ড. শফিকুল ইসলামের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন- যাদের আবাসন সংক্রান্ত সমস্যা আছে তাদের সবার কাছ থেকে মতামত নিচ্ছি। আমরা এ বিষয়ে ছাত্র উপদেষ্টা স্যারের সাথেও কথা বলেছি। আশা করি একটা সমাধান করতে পারবো।
ফরেস্ট্রি এন্ড এনভায়রনমেন্টাল সায়েন্স বিভাগের বিভাগীয় প্রধান অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ বেলাল উদ্দীন বলেন- একাডেমিক কাউন্সিলে এরকম কোন সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় নি। তোমরা কই থেকে এসব তথ্য পাও। আর ব্যবস্থাটা কি নেবো সেটা তোমাকে জানাতে হবে নাকি। যেই ব্যবস্থা নিবো সেটা আমার মাথায় আছে।
সার্বিক বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয় কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. মো আনোয়ারুল ইসলাম বলেন- বর্তমানে অস্বাভাবিক একটা সময় চলছে। আমাদের আগের মতো চিন্তা করলে হবে না। ছাত্র-শিক্ষক সবার জায়গা থেকে এগিয়ে আসতে হবে। আর যেসব শিক্ষক একাডেমিক কাউন্সিলের সিদ্ধান্ত মানছে না তাদেরকে আহ্বান জানাবো আবাসন সংকট নিরসনে শিক্ষার্থীদের সহায়তা করার জন্য।