ওসমানীনগরে ইফতারির জন্য স্ত্রী ও শ্বশুরকে বেঁধে নির্যাতন : থানায় অভিযোগ
ওসমানীনগর সংবাদদাতা :
সিলেটের ওসমানীনগরে শ্বশুরবাড়ি থেকে ইফতারি ও জামাকাপড় না পাওয়ায় রশি দিয়ে বেঁধে স্ত্রী ও বৃদ্ধ শ্বশুরকে নির্যাতন করার অভিযোগ উঠেছে মামুন মিয়া (২৬) নামের এক জামাই ও তার পরিবারের লোকজনের বিরুদ্ধে।
রোববার (৯ মে) সকাল ৯টার দিকে উপজেলার সাদিপুর ইউপির চরসম্মানপুর গ্রামে ঘটনাটি ঘটেছে।
এ ঘটনায় নির্যাতিত গৃহবধূর পিতা উপজেলার সাদিপুর ইউপির দক্ষিণ কালনিচর গ্রামের মৃত কুটি মিয়ার ছেলে বৃদ্ধ আব্দুস সহিদ (৬০) বাদি হয়ে ওসমানীনগর থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন।
গৃহবধূর পিতার অভিযোগ সূত্রে জানা যায়— উপজেলার সাদিপুর ইউপির চরসম্মানপুর গ্রামের আমির আলীর ছেলে মামুন মিয়ার সাথে প্রায় এক বছর পূর্বে একই ইউপির দক্ষিণ কালনীচর গ্রামের আব্দুস সহিদের কন্যা জায়দা বেগমের বিয়ে হয়। বিয়ের পর থেকে বিভিন্ন বিষয় নিয়ে স্বামী মামুন’সহ তার পরিবারের লোকজন গৃহবধূ জায়দাকে নির্যাতন করে আসছেন। এ ব্যাপারে একাধিকবার সালিশ বৈঠকে মীমাংসা হয়।
রোববার সকাল ৯টার দিকে শ্বশুরবাড়ির ইফতারি ও জামা কাপড় না আসায় গৃহবধূ জায়দাকে তার স্বামী মামুন’সহ পরিবারের লোকজন রশি দিয়ে খাটের সাথে বেঁধে অমানবিক নির্যাতন করা হয়। এ সময় গৃহবধূ জায়দার শরীরের বিভিন্ন অংশে জখম’সহ তার ঠোট কেটে যায়। বিষয়টি জায়দার পিতা আব্দস সহিদ জানতে পেরে মেয়ের বাড়ি চরসম্মানপুর গেলে জামাই মামুন মিয়ার পিতা আমির আলী বিয়াই আব্দুস সহিদকে বিভিন্ন ভাষায় গালমন্দ করে আব্দুস সহিদকেও চরথাপ্পর মারেন। পরে সেখান থেকে কোনো মতে পালিয়ে এসে জায়দার পিতা আব্দুস সহিদ মেয়েকে উদ্ধার’সহ ঘটনার সুষ্ঠু বিচারের জন্য ওসমানীনগর থানায় রোববার বিকেলে একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন।
গৃহবধূ জায়দার ভাই আব্দুল তাহিদ বলেন— আমার বোনকে তার স্বামী মামুন’সহ তাদের পরিবারের লোকজন ইফতারির জন্য রশি দিয়ে বেঁধে নির্যাতন করেছে। খবর শুনে আমার পিতা বোনের বাড়িতে গেলে আমার বাবাকেও তারা মারপিট করে। এ ঘটনার আমি সুষ্ঠু বিচার দাবি করছি।
সদিপুর ২নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য স্বপন মিয়া ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন— তার ওয়ার্ডের চরসম্মানপুর গ্রামের স্বামী ও তার পরিবার কর্তৃক ইফতারির জন্য গৃহবধূকে নির্যাতনের ঘটনা ঘটেছে বলে জানতে পারেন।
ওসমানীনগর থানার ওসি শ্যামল বণিক ইফতারির জন্য গৃহবধূ নির্যাতনের ঘটনার একটি লিখিত অভিযোগ গ্রহণের সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন— ঘটনাটি তদন্তের জন্য একজন এসআইকে দায়িত্ব দেয়া হয়েছে। সত্যতা পেলে প্রয়োজনীয় আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।