বিয়ানীবাজারে বৃষ্টি হলেই ড্রেনের পানি রাস্তায় : ভোগান্তি
বিয়ানীবাজার সংবাদদাতা :
বৃষ্টি হলেই সিলেটের বিয়ানীবাজার পৌরশহরের বিভিন্ন এলাকার ড্রেনের নোংরা পানি উপচে ওঠে সড়ক ডুবে যায়। পরে এসব নোংরা পানি বিভিন্ন দোকান পাটে প্রবেশ করে। পানি নামতে কয়েক ঘণ্টা সময় লাগে। এ সময় নোংরা পানি ঠেলেই চলাচল করেন পৌরবাসী। প্রথম শ্রেণীর পৌরসভা হওয়া পরও পূর্ণ সুবিধা ভোগ করতে পারছেন না পৌরশহরের ব্যবসায়ীসহ সাধারণ জনগণ।
এদিকে পৌরসভার অধিকাংশ এলাকার ড্রেনগুলো দীর্ঘদিন ধরে পরিষ্কার করা হয়নি। অকার্যকর রয়েছে ড্রেনের পানি নিষ্কাশন ব্যবস্থা। ফলে বৃষ্টি হলেই বিভিন্ন সড়কে সৃষ্টি হয় জলাবদ্ধতা। শুধু তাই নয়, ড্রেনগুলোর দুর্গন্ধযুক্ত ময়লা-আবর্জনা মিশ্রিত পানি সড়কের উপর উপচে পড়ছে। অনেক জায়গায় আবার এসব ময়লা দুর্গন্ধযুক্ত পানি বিভিন্ন ব্যবসা প্রতিষ্ঠানেও প্রবেশ করে। করোনার কারণে ব্যবসায় মন্দাভাব, তার উপর দুর্গন্ধযুক্ত এসব ময়লা পানিতে ব্যবসা প্রতিষ্ঠানগুলো একাকার।
এ যেন মরার উপর খাঁড়ার গাঁ। বাধ্য হয়ে বেচাবিক্রি বন্ধ করে দোকানপাটে ডুকে যাওয়া ময়লা পানি সেচ দিয়ে পরিষ্কার করতে হচ্ছে ব্যবসায়ীদের। দ্রুত পানি নিষ্কাশন ও ড্রেনেজ ব্যবস্থা উন্নতকরণের মাধ্যমে জনদুর্ভোগ লাগবে পৌর কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছেন ভুক্তভোগী ব্যবসায়ীরা।
সরেজমিনে দেখা যায়- বিয়ানীবাজার পৌরসভার কলেজ রোড, শহীদ টিলা এলাকা, পোস্ট অফিস রোড, নয়াগ্রাম রোড, ইনার কলেজ রোড’সহ বিভিন্ন এলাকায় জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়েছে। অনেক স্থানে বৃষ্টির পানি ড্রেন উপচে ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে প্রবেশ করেছে। এতে যান চলাচল ব্যাহত হবার পাশাপাশি দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে স্থানীয় ব্যবসায়ী ও নাগরিকদের। অপরিকল্পিত ও ডাকনাহীন ড্রেনেজ ব্যবস্থা, খাল ভরাট, অবৈধ দখল ও ড্রেনগুলো নিয়মিত পরিষ্কার না করার কারণে এসব এলাকায় ড্রেনের পানি নিষ্কাশন ব্যাহত হচ্ছে। আর তাই নিয়মিত ড্রেন পরিষ্কারের পাশাপাশি পানি নিষ্কাশন ব্যবস্থা উন্নতরকণের দাবি ভুক্তভোগীদের।
শহীদ টিলা এলাকার ব্যবসায়ী লিটন আহমদ জানান- দীর্ঘদিন ধরেই শহীদ টিলা এলাকার ড্রেনগুলো পরিষ্কার করা হয়নি। ড্রেনগুলো পরিষ্কার না করায় তা ভরাট হয়ে পানি নিষ্কাশনের অনুপযোগী হয়ে পড়ে। এ অবস্থায় সামান্য বৃষ্টিতে দোকান, সড়ক ও অলিগলি পানিতে থইথই হয়ে যায়। এতে আমাদের পচা, দুর্গন্ধযুক্ত, ময়লা-আবর্জনা মেশানো পানি মাড়িয়ে চলাফেরা করতে হয়।
পোষ্ট অফিস রোডের ব্যবসায়ী ফণী লাল চন্দ্র বলেন- বৃষ্টি হলেই পোষ্ট অফিস রোডে পানি উঠে যায়। ড্রেনের এসব নোংরা পানি ড্রেন দিয়ে না যেতে পারায় দোকানেও প্রবেশ করে । নর্দমা দিয়ে বৃষ্টির পানি ঠিকমতো নামতে পারে না। এতে জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হচ্ছে। পানি নামতে দুই-তিন ঘণ্টা বা আরও বেশি সময় লাগে।
বিয়ানীবাজার পৌরসভার প্যানেল মেয়র সাইফুল হক ঝুনু বলেন- বৃষ্টি হলে মূলত পৌরশহরের নিচু এলাকায় জলাবদ্ধতা হচ্ছে। অপরিকল্পিত ও পুরনো ড্রেনের কারণে এ সমস্যা হচ্ছে। তবে বড় কারণ হচ্ছে পৌরশহরের পানি নিষ্কাশনের একমাত্র নালা প্রতিবন্ধকতার কারণে পানি সহজে নামতে পারে না। এ জন্য রাস্তার ওপর পানি চলে আসে। অচিরেই সমস্যাটির সমাধান হবে।