সিলেট-৩ আসনে উপ-নির্বাচন: হাবিবের দ্বৈত নাগরিকত্ব নিয়ে আঙুল তুললেন লুমা
সময় সংগ্রহ :
সিলেট-৩ আসনের টানা তিন বারের এমপি মাহমুদ উস সামাদ চৌধুরী কয়েস গত ১১ মার্চ করোনায় আক্রান্ত অবস্থায় মারা যান। এরপর আসটি শূন্য ঘোষণা করা হয়।
করোনার কারণে সিলেটের গুরুত্বপূর্ণ এ আসনটিতে উপনির্বাচন ৯০ দিনের বেশি পেছালেও আর দেরি করতে রাজি নয় নির্বাচন কমিশন। আগামী ২৮ জুলাই মাহমুদ উস সামাদ চৌধুরীর আসনে উপনির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।
ভোটগ্রহণ ২৮ জুলাই হলেও সিলেট-৩ আসনে বইছে নির্বাচনী উত্তাপ। এমপি পদপ্রার্থীরা একে অন্যকে ছাড় দিয়ে কথা বলছেন না।
বৃহস্পতিবার (১৭ জুন) ছিলো এ আসনের এমপি প্রার্থীদের মনোনয়নপত্র বাছাইয়ের দিন। বাছাই শেষে ৬ জনের মধ্যে একমাত্র নারী প্রার্থী ফাহমিদা হোসেন লুমা ও শেখ জাহেদুর রহমান মাসুম এই দু’জনের মনোনয়নপত্র বাতিল ঘোষণা করেছেন সিলেট আঞ্চলিক নির্বাচন কার্যালয়ের রিটার্নিং কর্মকর্তা।
সিলেট-৩ আসনে উপ-নির্বাচনে ভোটযুদ্ধে অংশ নিতে গত ১৫ জুন (মঙ্গলবার) মনোনয়ন জমা দেন মোট ৬ জন। তারা হলেন- আওয়ামী লীগের প্রার্থী জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য হাবিবুর রহমান হাবিব, জাতীয় পার্টির প্রার্থী দলের প্রেসিডিয়াম সদস্য আতিকুর রহমান আতিক, স্বতন্ত্র প্রার্থী বিএনপি নেতা ও সাবেক সংসদ সদস্য শফি আহমেদ চৌধুরী, স্বতন্ত্র প্রার্থী জুনায়েদ মুহাম্মদ মিয়া, ফাহমিদা হোসেন লুমা এবং শেখ জাহেদুর রহমান মাসুম।
এর মধ্যে ফাহমিদা ও মাসুম ছাড়া সবার মনোনয়নপত্র আজ বৈধ ঘোষণা করেছে নির্বাচন অফিস। দাখিলকৃত মনোনয়নে ভোটারদের তথ্য যথাযথ না পাওয়ায় ফাহমিদা ও মাসুমের মনোনয়নপত্র বাতিল ঘোষণা করা হয়েছে।
এদিকে, সিলেট আঞ্চলিক নির্বাচন কার্যালয়ে মনোনয়নপত্র বাতিল ঘোষণার পর স্বতন্ত্র প্রার্থী ফাহমিদা হোসেন লুমা তাৎক্ষণিক এক প্রতিক্রিয়ায় বলেন- ‘ঠুনকো অজুহাতে আমার মনোনয়নপত্র বাতিল করা হয়েছে। অথচ আওয়ামী লীগের প্রার্থী হাবিবুর রহমান হাবিবের দ্বৈত নাগরিকত্ব রয়েছে। দেশের সংবিধান অনুযায়ী একসঙ্গে দুই দেশের নাগরিক থাকা কেউ নির্বাচনে প্রার্থী হতে পারবেন না। বিষয়টি আমরা বাকি সব প্রার্থী নির্বাচন কর্মকর্তার কাছে লিখিত ও মৌখিকভাবে বার বার জানিয়েছি। কিন্তু একরকম জোর করেই যেন হাবিবুর রহমান হাবিবের প্রার্থীতা বৈধ ঘোষণা করা হলো।’
ফাহমিদা লুনা আরও বলেন- ‘জাতীয় সংসদ একটি পবিত্র জায়গা। সে জায়গার জন্য নির্বাচিত হওয়ার আগেই যদি ছলচাতুরির আশ্রয় নেয়া হয় তবে নির্বাচিত হলে এমন ব্যক্তির কাছ থেকে কী আশা করা যায়!’
ফাহমিদার বক্তব্যের বিষয়ে বিষয়ে আওয়ামী লীগের প্রার্থী জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য হাবিবুর রহমান হাবিব বৃহস্পতিবার বিকেলে সংবাদ মাধ্যমকে বলেন- ‘বাংলাদেশের আইনের প্রতি আমি শ্রদ্ধাশীল হয়ে নিয়ম অনুযায়ী ৬ মাস আগেই ‘সালেন্ডার’ করেছি। এর স্বপক্ষে কাগজপত্র আমি নির্বাচন কমিশন অফিসে জমাও দিয়েছি। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ সবকিছু যাচাই-বাছাই করেই আমার মনোনয়পত্র বৈধ ঘোষণা করেছেন।