শোক মানেনি শাবি; ক্ষোভ ছাত্রলীগে
সময় সংগ্রহ
জাতীয় শোক দিবস ও বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের শাহাদাত বার্ষিকীর দিনে শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে ভার্চুয়ালি পরীক্ষা নিয়েছেন কম্পিউটার সায়েন্স এন্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের এক শিক্ষক। এতে তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছে শাবি শাখা ছাত্রলীগ।
রোববার (১৫ আগস্ট) রাতে বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের পক্ষ থেকে প্রেরিত এক বিবৃতিতে এ প্রতিবাদ জানান তারা।
বিবৃতিতে বলা হয়- ১৫ আগস্ট বাঙালি জাতির জন্য এক নির্মম বেদনাদায়ক একটি দিন। ১৯৭৫ সালে এই দিনে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে স্বপরিবারে হত্যা করা হয়। সেই থেকে এই দিনটি বাঙালি জাতির জন্য এক কালো অধ্যায়। আমরা জানি ১৫ আগস্ট সরকারিভাবে জাতীয় শোক দিবস হিসেবে পালিত হয়ে আসছে। দেশের সকল সরকারি ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠান এই দিনটিকে যথাযথ মর্যাদায় পালন করে থাকে। কিন্তু অত্যন্ত পরিতাপের বিষয় এই যে আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ের কম্পিউটার সায়েন্স এন্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের সহকারী অধ্যাপক সাইফুল ইসলাম এই দিনে আজ পরিসংখ্যান বিভাগের শিক্ষার্থীদের জোরপূর্বক ডাটাবেজ ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম (সিএসই-২০৫০) কোর্সের ফাইনাল পরীক্ষা নেন। শোক এবং সরকারি ছুটির এই দিনে যেটা সম্পূর্ণ অনুচিত।
বিবৃতিতে আরও বলা হয়- ‘এই কর্মকাণ্ড সম্পূর্ণ দায়িত্বহীনতার পরিচয় বহন করে। এমন কর্মকাণ্ডে আমরা শাবি ছাত্রলীগ বিব্রত ও লজ্জিত। তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছে শাবি ছাত্রলীগ।’
সঠিক তদন্ত সাপেক্ষে অতিদ্রুত যথাযথ পদক্ষেপ গ্রহণ করতে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনের কাছে দাবি জানান তারা। অন্যথায় শাবি ছাত্রলীগ পরিবার এইরকম কার্যকলাপ কখনোই মেনে নেবে না বলেও বিবৃতিতে উল্লেখ করা হয়।
তবে জোরপূর্বক পরীক্ষা নেয়ার বিষয় অস্বীকার করে সহকারী অধ্যাপক সাইফুল ইসলাম বলেন- ‘আমি ব্যক্তিগতভাবে এই দিবসে পরীক্ষা নেয়া সমর্থন করি না। তবে শিক্ষার্থীদের সুবিধা এবং তাদের মতামতের প্রেক্ষিতে আমি পরীক্ষা নিতে রাজি হয়েছি।’
জাতীয় শোক দিবসে পরীক্ষা নেয়ার কারণে ছাত্রলীগের অভিযোগের প্রেক্ষিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক মো. মুজিবুর রহমান বলেন- ‘ছুটির দিনে পরীক্ষা নেয়া যাবে না এরকম কোন নিয়ম আমাদের নেই। সকল শিক্ষার্থী যদি একমত থাকে এবং পরীক্ষা যদি নেয়া হয় তাহলে এখানে অভিযোগের কিছু দেখছি না। তবে জাতীয় শোক দিবসের মতো কিছু গুরুত্বপূর্ণ দিবসে সাধারণত পরীক্ষা নেয়াটা বা এ ধরণের কাজকে আমরা অনুৎসাহিত করি। তবে এরকম দিবসে পরীক্ষা নেয়া থেকে বিরত থাকটাই হয়তো দিবসটিকে যথাযথ সম্মান প্রদর্শন করা হতো।’