মার্কিন স্কলারশিপ প্রোগ্রামে ঢাকা-সিলেট-চট্টগ্রামের ২০০ শিক্ষার্থী
অনলাইন সময়
মার্কিন দূতাবাসের ইংলিশ অ্যাক্সেস মাইক্রো স্কলারশিপ প্রোগ্রামে ঢাকা, সিলেট ও চট্রগ্রামের ২০০ শিক্ষার্থী অংশ নিচ্ছে। এর ফলে তারা ইংরেজি ভাষা, বিশ্লেষণ-চিন্তা ও নেতৃত্বের দক্ষতা জোরদার করার সুযোগ পাবে। মঙ্গলবার (৩১ আগস্ট) সন্ধ্যায় বাংলাদেশে নিযুক্ত যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত আর্ল মিলার নির্বাচিত হওয়া ২০০ বাংলাদেশি শিক্ষার্থীকে অভিনন্দন জানান।
রাষ্ট্রদূত মিলার জীবন বদলে দেওয়ার এ কর্মসূচিতে অংশগ্রহণের জন্য ঢাকা, সিলেট ও চট্টগ্রামের স্থানীয় মাদরাসা, সরকারি ও কারিগরি স্কুলের ২০০ শিক্ষার্থীর প্রশংসা করেন।
তিনি বলেন- অ্যাক্সেস প্রোগ্রামে আপনাদের অংশগ্রহণ বাংলাদেশ ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে আস্থা ও পারস্পরিক শ্রদ্ধার দীর্ঘ বন্ধুত্ব গড়ে তোলার জন্য গুরুত্বপূর্ণ। আশা করি আপনারা দুই দেশের মধ্যে সম্পর্ককে আরও জোরদার করতে কাজ করবেন।
ইংলিশ অ্যাক্সেস মাইক্রোস্কলারশিপ কর্মসূচি হলো দুই বছরের কঠোর অনুশীলনের ইন্টার অ্যাকটিভ (অংশগ্রহণ মূলক) কোর্স যেখানে আর্থিকভাবে পিছিয়ে থাকা জনগোষ্ঠী থেকে আসা ১৩-১৭ বছরের শিক্ষার্থীরা ইংরেজি ভাষা শেখে, যুক্তরাষ্ট্রের সংস্কৃতি সম্পর্কে জানে, বিশ্লেষণ করার সামর্থ্য ও নেতৃত্বদানের দক্ষতা অর্জন করে।
২০০৪ সালে চালু হওয়া এ কর্মসূচির পর থেকে এখন পর্যন্ত এক হাজার ৩৩৬ বাংলাদেশি শিক্ষার্থী সফলভাবে এই কোর্স সম্পন্ন করেছে।
অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন- সিলেট জেলা প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক ছামির মাহমুদ, সিলেট সিটি করপোরেশনের ৫নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর রেজওয়ান আহমদ, জিইআইএসটি ইন্টারন্যাশনাল ফাউন্ডেশনের সিইও বিপ্লব দেব, এলপিসির ডিরেক্টর জাভেদ হায়দার করিম, ইংলিশ এক্সেস মাইক্রোস্কলারশিপ প্রোগ্রাম সিলেটের কো-অর্ডিনেটর প্রণবকান্তি দেব, এক্সেস শিক্ষক ফাতেমা জহির প্রমুখ।
অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন নুসরাত তাহসিন। এছাড়া ঢাকা, সিলেট ও চট্রগ্রামের দুই শতাধিক শিক্ষার্থী এতে অংশ নেন।