সিরাতুন্নবী সা. এর কবিতা “মাটি-মানুষের গল্প” —শিবলী সোহায়েল
সময় সংগ্রহ
সিরাতুন্নবী সা. এর কবিতা
“মাটি-মানুষের গল্প”
শিবলী সোহায়েল
ঐ পথের পাশে নিশ্চল আমি ধূসর চাদরে ঢাকা,
তপ্ত, শুষ্ক, রুক্ষ পাথুরে বিশাল বিরান খাঁখাঁ।
আকাশে তাকিয়ে দিনরাত শুধু চিত হয়ে শুয়ে থাকা,
কাল গুনে গুনে গল্পগুলোকে টুকে টুকে বুকে রাখা।
রাত নামলেই গহীন আঁধার ঘুটঘুটে ছমছম,
ঝিঁঝিঁ গায়কেরা ঘুমিয়ে পড়লে চারিদিকে থমথম।
হাতির বছর রাতির ঘটনা পষ্ট স্মরণ আছে,
হাজার বাতির জ্বলল আলোক জমজমেরই কাছে।
ভোরের বেলায় শুনতে পেলাম পাখপাখালির গানে,
কে এসেছেন? সে এসেছেন, জগতবাসীর টানে।
আমার কোলেই দ্যুতিমান দীপ দিনে দিনে বেড়ে ওঠে,
এতটুকু সোনা চাঁদের মুকুল জ্যোৎস্না হয়ে ফোটে।
আমার নিচের খোলা প্রান্তরে পশু পাল নিয়ে খেলে,
প্রতি নিশ্বাসে, গাঢ় বিশ্বাসে মানুষে মানুষে মেলে।
ভাবনাটা বেশি তাদেরকে নিয়ে হৃদয় যাদের ভগ্ন
আমার চুড়ার গুহার গভীরে অধ্যয়নেই মগ্ন।
সেদিনের কথা? ইকরা, ইকরা আলোয় উদ্ভাসিত!!
আমার প্রতিটি শিলায় শিলায় ধ্বনিত উন্মেষিত!
তারপর নদী, বাতাসের টানে, সমুদ্র গর্জনে,
লোকালয় থেকে সবুজ বনের প্রশান্ত নির্জনে।
পুষ্প পাতায়, শস্য কণায়, বিশ্বাসীদের মনে
জোয়ারের স্রোতে ঝড়ের গতিতে পৃথিবীর কোনে কোনে।
তুমি কি ভাবছ রূপকথা কোন মহামানবের কল্প?
আমিতো বলছি সাদা মাটা এক মাটি-মানুষের গল্প।
মতিমান তবু অতি সাধারণ তোমার চেয়েও নিঃস্ব,
কাজগুলো তাঁর মহা কাজ তাই জয় করেছেন বিশ্ব।