ডেসটিনি’র অর্থ পাচার : এক মামলার রায় ১২ মে
সময় সিলেট ডেস্ক
ডেসটিনি মাল্টিপারপাস কো-অপারেটিভ সোসাইটির গ্রাহকের ৪ হাজার ১১৯ কোটি ২৪ লাখ টাকা আত্মসাৎ ও পাচারের মামলার রায় আগামী ১২ মে ধার্য করেছেন আদালত। উভয়পক্ষের যুক্তিতর্ক উপস্থাপন শেষে ঢাকার চতুর্থ বিশেষ জজ আদালতের বিচারক শেখ নাজমুল আলম রোববার রায় ঘোষণার জন্য এই দিন ঠিক করেন।
দুদকের আইনজীবী মীর আহমেদ আলী সালাম জানান— রাষ্ট্রপক্ষে এ মামলায় মোট ৩০৩ জন সাক্ষীর মধ্যে ২০২ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ করেছেন আদালত।
দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) উপপরিচালক মোজাহার আলী সরদার ও সহকারী পরিচালক তৌফিকুল ইসলাম ২০১২ সালের ৩১ জুলাই রাজধানীর কলাবাগান থানায় পৃথক দুটি মামলা করেন। তদন্ত শেষে ২০১৪ সালের ৫ মে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করা হয়। এর মধ্যে ডেসটিনি মাল্টিপারপাস কো-অপারেটিভ সোসাইটির মামলায় ৪৬ জন এবং ডেসটিনি ট্রি প্লানটেশন লিমিটেডে দুর্নীতির মামলার ১৯ জনকে আসামি করা হয়।
ডেসটিনি গ্রুপের প্রেসিডেন্ট সাবেক সেনাপ্রধান হারুন-অর-রশিদ ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক রফিকুল আমীনসহ ৫১ জন এ দুই মামলার আসামি। তাদের মধ্যে রফিকুল আমীন, প্রতিষ্ঠানটির চেয়ারম্যান মোহাম্মদ হোসেন এবং লে. কর্নেল (অব.) দিদারুল আলম ১০ বছর ধরে কারাগারে আছেন। জামিনে আছেন লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) হারুন-অর-রশিদ, চেয়ারম্যান জেসমিন আক্তার, জিয়াউল হক মোল্লা ও সাইফুল ইসলাম রুবেল। বাকি ৪৪ আসামি পলাতক।
অভিযোগপত্রে বলা হয়— ২০০৮ সাল থেকে মাল্টিপারপাস কো-অপারেটিভ প্রোজেক্টের নামে ডেসটিনি বিনিয়োগকারীদের কাছ থেকে সংগ্রহ করেছিল ১ হাজার ৯০১ কোটি টাকা। সেখান থেকে ১ হাজার ৮৬১ কোটি টাকা আত্মসাৎ করে। আর ডেসটিনি ট্রি প্লান্টেশন প্রোজেক্টের মাধ্যমে বিনিয়োগকারীদের কাছ থেকে ২ হাজার ৪৪৫ কোটি টাকা সংগ্রহ করে। এর মধ্যে ২ হাজার ২৫৭ কোটি ৭৮ লাখ ৭৭ হাজার টাকা আত্মসাৎ করা হয়। আত্মসাৎ করা চার হাজার ১১৯ কোটি টাকার মধ্যে ৯৬ কোটি টাকা বিদেশে পাচারের অভিযোগও আনা হয় দুই মামলায়।
ডেসটিনি ট্রি প্লানটেশনের মামলায় ২৩৭ জন সাক্ষীর মধ্যে বাদীসহ সাতজনের সাক্ষ্য গ্রহণ শেষ হওয়ার পর এ মামলায় আর কোনো সাক্ষ্যগ্রহণ হয়নি।