ফসল রক্ষা বাঁধের স্থায়ী সমাধানের ব্যবস্থা করা হবে: পানি সম্পদ উপমন্ত্রী
সুনামগঞ্জ সংবাদদাতা
পানি সম্পদ উপমন্ত্রী একেএম এনামুল হক শামীম বলেছেন— ফসলহানিতে ক্ষতিগ্রস্থ কৃষকদের আর্থিক সহায়তার পাশাপাশি সর্বোচ্চ সহযোগীতা করা হবে, আমি ত্রাণমন্ত্রীর সাথে কথা বলেছি। সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে দ্রুততার সাথে হাওর রক্ষা বাঁধের স্থায়ী সমাধানের ব্যবস্থা করা হবে।
শুক্রবার সকাল ১০ টার দিকে দিরাই উপজেলার চাপতির হাওরের তলিয়ে যাওয়া ফসল এবং বৈশাখী বাঁধ এলাকা পরিদর্শন কালে তিনি এসব কথা বলেন।
উপমন্ত্রী বলেন— সুনামগঞ্জ হাওরাঞ্চলে ৫৩৫ কিলোমিটার বাঁধ রয়েছে একেকটি এলাকার মাটি একেক রকম। এক্সপার্ট প্রকৌশলী দ্বারা এবং আপনাদের দীর্ঘদিনের অভিজ্ঞতা নিয়ে হাওররক্ষা বাঁধের স্থায়ী সমাধান করা হবে। পরস্পর কাঁদা ছুড়াছুড়ি না করে বিপদে ধৈর্য ধারন করতে হবে এবং সবাই মিলে সমস্যা সমাধানে পরিকল্পনা গ্রহণ করতে হবে।
মন্ত্রী বলেন— পানি সম্পদ মন্ত্রনালয় একটি মানবতার মন্ত্রনালয়, নদী খনন, নদী ভাঙ্গণ রোধে মানুষের জন্য, হাওরাঞ্চল ও চরাঞ্চলের মানুষের জন্য কাজ করে এ মন্ত্রনালয়। বাঁধ নির্মানে পিআইসির অনিয়মের বিষয়ে মন্ত্রনালয়ে উচ্চপর্যায়ে তদন্ত কমিটি করা হবে, তদন্ত করে দোষীদের শাস্তির আওতায় আনা হবে। ফসল রক্ষা বাধ নিয়ে আগামী বছর নতুন ভাবে ভাবা হবে। চাপতির হাওর রক্ষায় চাতল সুইচ গেইট থেকে কলিয়াকাপন পর্যন্ত ৪ কিলোমিটার কম্পার্টমেন্টাল বাঁধ প্রকল্পভুক্ত করা হবে। অকাল বন্যার হাত থেকে বাঁচতে নদী খননের বিকল্প নেই। মাননীয় প্রধান মন্ত্রীর নির্দেশনা রয়েছে সুরমা নদী থেকে শুরু করে সকল নদী ড্রেজিং করে স্বাভাবিক প্রবাহ চালু করা। আমরা অচিরেই পরিকল্পনা গ্রহণ করবো।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন— পানি উন্নয়ন বোর্ডের মহাপরিচালক মো: ফজলুর রশীদ, পাউবোর উত্তর-পূর্বাঞ্চল জোনের অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী এসম শহীদুল ইসলাম, সিলেট সার্কেলের তত্ত্বাবধায়ক প্রবীর কুমার গোস্বামী, সুনামগঞ্জ জেলা প্রশাসক জাহাঙ্গীর হোসেন, পাউবোর নির্বাহী প্রকৌশলী সামসুদ্দোহা, দিরাই উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মাহমুদুর রহমান মামুন, জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ব্যারিষ্টার এম এনামুল কবীর ইমন, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার দিরাই সার্কেল আবু সুফিয়ান, ওসি সাইফুল আলম প্রমুখ।
হাওর পরিদর্শন শেষে মন্ত্রী দিরাই উপজেলা আওয়ামী লীগ কার্যালয়ে দিরাই-শাল্লার সাংসদ জয়া সেনগুপ্তার সাথে মতবিনিময় সভায় যোগ দেন। এ সময় নদী খননের উপর গুরুত্বারোপের দাবি জানান ড. জয়া সেনগুপ্তা। এর আগে মন্ত্রী জাতীয় নেতা প্রয়াত সুরঞ্জিত সেনগুপ্তের সমাধিস্থলে শ্রদ্ধাজ্ঞাপন করেন।
প্রসঙ্গত, গতবুধবার দিবাগত রাত সাড়ে ১২ টার দিকে চাপতি হাওর উপ প্রকল্পের তাড়ল বৈশাখী বাঁধটি ভেঙ্গে তলিয়ে যায় বৃহত্তর চাপতির হাওর ও বৈশাখী হাওরের সাড়ে চার হাজার হেক্টর বোরো ফসল।