ন্যাটোতে ‘যোগ দিচ্ছে’ ফিনল্যান্ড : পুতিনের দুঃসংবাদ?
আন্তর্জাতিক সময়
রাশিয়া ইউক্রেনে হামলা করার পর বদলে গেছে অনেক কিছু। রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের অন্যতম একটি পরিণতি হলো রাশিয়ার প্রতিবেশী দেশ ফিনল্যান্ড সামরিক জোট ন্যাটোতে যোগ দিতে যাচ্ছে।
রাশিয়া ইউক্রেনে হামলা করার পর ফিনল্যান্ড এখন মনে করছে ভবিষ্যতে রুশ বাহিনী ফিনল্যান্ডেও আক্রমণ করবে। আর এ ভাবনা থেকে নিজেদের নিরাপত্তা নিশ্চিতে এখন যুক্তরাষ্ট্রের নেতৃত্বাধীন সামরিক জোট ন্যাটোতে যোগ দিতে যাচ্ছে তারা।
ফিনল্যান্ডের ইউরোপ বিষয়ক মন্ত্রী জানিয়েছেন— তারা এখনো সিদ্ধান্ত নেননি ন্যাটোতে যোগ দেবেন কিনা, কিন্তু যোগ দেওয়ার সম্ভাবনা অনেক বেশি।
ফিনল্যান্ড ন্যাটোতে যোগ দেওয়ার তোরজোড় শুরু করার পর রাশিয়া হুমকি দিয়েছে এর পরিণতি খারাপ হবে।
ফিনল্যান্ডের ন্যাটোতে যোগ দেওয়ার বিষয়টি কেন রাশিয়ার কাছে এতটা গুরুত্বপূর্ণ ও চিন্তার বিষয়? আর এটি কেনই বা রুশ প্রেসিডেন্ট পুতিনের জন্য বড় একটি খারাপ খবর?
গণমাধ্যম সিএনএন তাদের বিশ্লেষণে জানিয়েছে— বর্তমানে রাশিয়ার পাঁচটি প্রতিবেশী দেশ ন্যাটোর সঙ্গে যুক্ত আছে। এর মাধ্যমে রাশিয়ার সীমানার সঙ্গে ন্যাটোভুক্ত দেশের সীমানা আছে ৭৫৫ মাইল।
আর এ বিষয়টি নিয়েই চিন্তিত রাশিয়া। তারা শর্ত দিয়েছে তাদের প্রতিবেশী দেশগুলোকে ন্যাটো থেকে বাদ দিতে হবে। ১৯৯০ সালের আগে ন্যাটোর অবস্থা যেরকম ছিল সে অবস্থায় নিয়ে যেতে হবে।
অন্যদিকে শুধুমাত্র ফিনল্যান্ডের সঙ্গে রাশিয়ার সীমানা আছে ৮০০ মাইল জুড়ে। মানে ফিনল্যান্ড ন্যাটোতে যোগ দিলে রাশিয়ার সীমানার আরও ৮০০ মাইল জুড়ে থাকবে ন্যাটো সেনা। এটিই পুতিনের জন্য বড় খারাপ খবর।
শুধু তাই নয়। পুতিনের জন্য আরেকটি খারাপ খবর হলো ফিনল্যান্ড ন্যাটোতে যোগ দিলে ন্যাটোর শক্তি আরও বাড়বে। ফিনল্যান্ডের জনসংখ্যা অনেক কম হলেও এর সেনাবাহিনী অনেক শক্তিশালী। সামরিক দিক দিয়ে তারা এগিয়ে। ফিনল্যান্ড ন্যাটোতে যোগ দিলে তাদের সামরিক শক্তি ন্যাটোর শক্তিতে পরিণত হবে।
তাছাড়া আনঅফিসিয়ালি দীর্ঘদিন ধরে পশ্চিমাদের সঙ্গে সখ্যতা বজায় রেখেছে ফিনল্যান্ড। তারা তাদের সামরিক সরঞ্জাম কিনেছে যুক্তরাষ্ট্রের কাছ থেকে। ফলে তাদের অস্ত্র আর ন্যাটোর অস্ত্রের সক্ষমতা সমান। ন্যাটো যদি কোনো সামরিক অভিযানে যোগ দেয় তাহলে ফিনল্যান্ড সেটিতে সহজেই যোগ দিতে পারবে।
সূত্র : সিএনএন