মাধবপুরে প্রেমিকার বাড়ির পাশে প্রেমিকের গলায় ফাঁস!
মাধবপুর সংবাদদাতা
হবিগঞ্জের মাধবপুর উপজেলার ঘোনাপাড়া এলাকায় প্রেমিকার বাড়ির পাশে বাগানের গাছে গলায় ফাঁস লাগানো অবস্থায় জুনায়েত মিয়া (২৫) নামে যুবকের লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। শনিবার সকালে মনতলা তদন্ত কেন্দ্রে’র এস.আই মঞ্জুরুল ইসলাম লাশ উদ্ধার করে ময়ন্তদন্তের জন্য হবিগঞ্জ মর্গে প্রেরন করেন।
জুনায়েত উপজেলার বহরা ইউনিয়নের সুবিদপুর গ্রামের সাবেক ইউপি সদস্য আব্দুল আউয়াল মিয়ার ছেলে। তার পরিবারের দাবি পরিকল্পিতভাবে জুনায়েতকে হত্যা করা হয়েছে।
এলাকার লোকজন জানান— উপজেলার বহরা ইউনিয়নের সুবিদপুর গ্রামের সাবেক ইউপি সদস্য আব্দুল আউয়াল মিয়ার ছেলে জনায়েত মিয়ার সঙ্গে পার্শ্ববর্তী ঘোনাপাড়া গ্রামের শিশু মিয়ার মেয়ের প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠে। শুক্রবার দিবাগত রাত প্রায় ১০ টার দিকে জুনায়েত ওই মেয়েকে ঘোনাপাড়া গাছ বাগানে আসতে বলে। পরে ওই মেয়ে বাগানে এসে জুনায়েতকে একটি গাছে ঝুলে আছে দেখতে পায়। পরে জুনায়েতের ছোট ভাই মোশাহিদ মিয়ার মোবাইল ফোনে কল দিয়ে জুনায়েত গাছে ঝুলে থাকার সংবাদ জানায়। সংবাদ পেয়ে পরিবারের লোকজন দ্রুত তাকে উদ্ধার করে মাধবপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
খবর পেয়ে শনিবার সকালে মনতলা তদন্ত কেন্দ্রে’র এসআই মঞ্জুরুল ইসলাম লাশ উদ্ধার করে ময়ন্তদন্তের জন্য হবিগঞ্জ মর্গে প্রেরণ করেন।
জুনায়েতের পিতা আব্দুল আউয়াল বলেন— ‘আমি বাজার থেকে বাড়ীতে এসে ছেলেকে ঘরে দেখতে না পেয়ে মোবাইল ফোনে কল করি। কিন্তু তার মোবাইল বন্ধ পাই। রাত প্রায় সোয়া ১০টার দিকে এক মেয়ে আমার ছোট ছেলে মোশাহিদের মোবাইলে ফোন দিয়ে বলে তোমার ভাই গাছে ঝুলে আছে তাড়াতাড়ি আস। আমরা দৌড়ে সেখানে গিয়ে তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে আসলে ডাক্তার তাকে মৃত ঘোষণা করেন।’
তিনি বলেন— আমার ছেলেকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হয়েছে।’
মাধবপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মুহাম্মদ আব্দুর রাজ্জাক জানান— লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য হবিগঞ্জে মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে। কিভাবে সে মারা গেছে— সেরহস্য উদ্ধারে পুলিশ কাজ শুরু করেছে। তবে, শনিবার দুপুর পর্যন্ত এ নিয়ে থানায় কোনো অভিযোগ আসেনি বলেও জানান ওসি।