ফ্যাক্টরি চালু করায় শ্রমিকদের হাতে অবরুদ্ধ ধামাই চা বাগান কর্মকর্তারা
জুড়ী সংবাদদাতা

মৌলভীবাজারের জুড়ী উপজেলার ধামাই চা বাগানে ধর্মঘটের মধ্যে মালিকপক্ষের মাধ্যমে ফ্যাক্টরি চালু হওয়া নিয়ে মালিকপক্ষের সাথে শ্রমিকদের উত্তেজনা দেখা যায়। এ সময় মালিকপক্ষের প্রতিনিধিদের ঘন্টাখানেক তালাবদ্ধ করে রাখে শ্রমিকরা।
খবর পেয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সোনিয়া সুলতানা গিয়ে উভয় পক্ষের সাথে আলাপ-আলোচনা করে উত্তেজনা নিরসন করেন।
সরেজমিনে ধামাই চা বাগানে গিয়ে জানা যায়— ৩০০ টাকা নূন্যতম মজুরীর দাবিতে কয়েকদিন থেকে চা শ্রমিকরা আন্দোলন করে আসছেন। এরই ধারাবাহিকতায় বাগানগুলোতে শ্রমিকদের কর্মবিরতি চলছে।
মঙ্গলবার সকাল ১১ টার দিকে ধামাই বাগানের ডিজিএম, এজিএম’সহ কয়েকজন সংগ্রহ করা পূরাতন চা পাতা নষ্ট না হওয়ার জন্য নিজেরাই ফ্যাক্টরি চালু করেন। এ খবর পেয়ে শ্রমিকরা উত্তেজিত হয়ে বাগানের ফ্যাক্টরীর ভেতরে সবাইকে রেখে বাইরে তালা ঝুলিয়ে দেয়।
১২ টার দিকে খবর পেয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সোনিয়া সুলতানা, সহকারী কমিশনার (ভূমি) রতন কুমার অধিকারী, উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান রিংকু রঞ্জন দাস, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান রনজিতা শর্মা, স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান আনফর আলী ঘটনাস্থলে গিয়ে তালা খুলে উভয় পক্ষের সাথে আলোচনা করেন। পরে ফ্যাক্টরি বন্ধ রাখার সম্মতিতে উভয় পক্ষ রাজি হলে পরিস্থিতি শান্ত হয়।
বাগান পঞ্চায়েত কমিটির সভাপতি যাদব রুদ্রপাল বলেন— আমাদের পেটে লাথি দিয়ে ম্যানেজার কিভাবে ফ্যাক্টরি চালু করে। আমাদের দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত আমাদের আন্দোলন চলবে।
বাগানের ডিজিএম বলেন শেখ কাজল মাহমুদ বলেন— তাদের আন্দোলনে আমাদের কোন বিরোধীতা নেই। তারা কর্মবিরতি করছে, আমি তাদের বুজিয়েছি যে, বাগানের অনেকগুলো পাতা নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। এই পাতা বিক্রি করে তাদের, আমাদের মজুরী দেওয়া হয়। সরকারকে রাজস্ব দেওয়া হয়। তারা যেহেতু আপাতত কাজ করছে না সেহেতু আমরা সবাই মিলে নষ্ট না হওয়ার জন্য ফ্যাক্টরি চালু করেছিলাম, কিন্তু তারা এসে তালা মেরে দিয়েছে।




