দুই-এক দিনের মধ্যেই লোড শেডিং কমবে: আশা বিদ্যুৎসচিবের
সময় সিলেট ডেস্ক

দুই-এক দিনের মধ্যেই বিদ্যুৎ পরিস্থিতি কিছুটা উন্নতি হতে শুরু করবে বলে মন্তব্য করেছেন বিদ্যুৎ বিভাগের সচিব হাবিবুর রহমান।
তিনি বলেন— ‘ঘোড়াশালের একটি উপকেন্দ্রে যান্ত্রিক ত্রুটির কারণে পূর্বাঞ্চলের উদ্বৃত্ত বিদ্যুৎ পশ্চিমাঞ্চলে আনতে না পারায় পরিস্থিতি বেশি অবনতি হয়েছে। ’
সোমবার সচিবালয়ে সচিব তাঁর নিজ অফিসকক্ষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এসব কথা বলেন। সচিব হাবিবুর রহমান বলেন— ‘পূর্বাঞ্চলে ১১০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উদ্বৃত্ত রয়েছে।
কিন্তু ঘোড়শাল উপকেন্দ্রের যান্ত্রিক ত্রুটির কারণে তা আনা যাচ্ছে না। দুই-এক দিনের মধ্যেই উপকেন্দ্রটি চালু হতে পারে। এতে ওই ১১০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ গ্রিডে বাড়তি যোগ হবে। এতে পরিস্থিতি কিছুটা উন্নতি হবে।’
সচিব বলেন— ‘গ্যাস সরবরাহ কম পাচ্ছি, এতে করে গ্যাসভিত্তিক বিদ্যুকেন্দ্রগুলো বসে থাকছে। কয়লা সংকটের কারণে বড়পুকুরিয়া কয়লাভিত্তিক বিদ্যুকেন্দ্র বন্ধ রয়েছে, যে কারণে সংকটটা বেড়েছে। করোনার কারণে বড়পুকুরিয়ার কয়লা উত্তোলন বন্ধ ছিল। সেখানে আবারও কয়লা উত্তোলন শুরু হয়েছে। আশা করছি শিগগিরই বড়পুকুরিয়া কয়লাভিত্তিক বিদ্যুকেন্দ্রটি চালু করা সম্ভব হবে।’
এদিকে গত সোমবার দুপুরে সচিবালয়ে বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ সাংবাদিকদের জানান— চলমান লোড শেডিং আগামী নভেম্বরের আগে কমার আশা দেখছেন না তিনি।
তিনি বলেছেন— ‘গ্যাস আনতে না পারায় নভেম্বরের আগে লোড শেডিং পরিস্থিতির উন্নতির আশা নেই।’




