প্রতারণা করে কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়ে যুবক উধাও!
সময় সংগ্রহ
সিলেটের গোলাপগঞ্জে একাধিক ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের কাছ থেকে চাকুরীর প্রলোভন’সহ বিভিন্ন অজুহাতে প্রতারণা করে কোটি টাকা হাতিয়ে নেয়ার অভিযোগ ওঠেছে রতন মনি দাশ (৩৫) নামে এক যুবকের বিরুদ্ধে।
রতন উপজেলার লক্ষিপাশা ইউনিয়নের ঘোষগাঁও গ্রামের রঞ্জিত দাশের ছেলে। এ ঘটনায় ওই রতনের খোঁজ চেয়ে গোলাপগঞ্জ মডেল থানায় একটি সাধারণ ডায়েরিও করেছেন এক ব্যবসায়ী।
অভিযোগকারী ও বিভিন্ন সূত্রে জানা যায়— রতন দাশ ব্র্যাকের একটি প্রতিষ্ঠানের চাকুরী করতেন। এই সুবাদে অনেকের সাথে তার পরিচয় গড়ে উঠে। রতন এই পরিচয়কে পুঁজি করে বিভিন্ন শিক্ষিত বেকার যুবকদের চাকরির প্রলোভন দেখিয়ে বিপুল পরিমাণ টাকা হাতিয়ে নেন। তিনি তাদের বলেন— তার সাথে অনেক প্রতিষ্ঠানের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তাদের সম্পর্ক রয়েছে। তার প্রতারণা থেকে বাদ যাননি আত্মীয় স্বজন সহ প্রতিবেশীরাও। তিনি আপন বোন, শ্বাশুড়ী’সহ অনেক আত্মীয়-স্বজনের কাছ থেকেও বিপুল পরিমাণ টাকা হাতিয়ে নেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
এছাড়াও গোলাপগঞ্জ বাজারের সিঙ্গার প্লাস শো-রুম থেকে ৯১টি ল্যাপটপ (যার আনুমানিক মূল্য ৭০/৭৫লক্ষ টাকা) নিয়ে গত দুই সপ্তাহ থেকে মোবাইল ফোন বন্ধ করে আত্মগোপনে যায় প্রতারক রতন মনি দাশ। এ ব্যাপারে তার সন্ধান চেয়ে গোলাপগঞ্জ মডেল থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করা হয়েছে। (নং ৩৭২/৮.১০.২২)।
রতনের প্রতিবেশী নিতাই দাশ জানান— চাকরির প্রলোভন দেখিয়ে তার বোনের দেড় লক্ষ টাকা এবং তার ৭০হাজার টাকা হাতিয়ে নিয়েছে।
তিনি আরো বলেন— আমি কিছুদিন ধরে তার মোবাইল বন্ধ পেয়ে খোঁজ নিয়ে আরো জানতে পারি সে শুধু আমার কাছ থেকে নয় তার আপন চাচাতো ভাই-বোন, ফুফাতো ভাই-বোন এবং গ্রামের একাধিক বন্ধু, পরিচিতজনদের লোভনীয় চাকুরির অফার দিয়ে নগদ কয়েক লক্ষাধিক টাকা হাতিয়ে নেয়।
এদিকে তার পরিবারের সদস্যরা জানান— রতন মনি সম্প্রতি ট্রেনিংয়ের কথা বলে ঢাকায় গেছেন। তিনি সাথে করে তার স্ত্রী-সন্তানদেরও নিয়ে গেছেন। পরিবারের সাথেও তার কোন যোগাযোগ নেই বলেও জানান তারা।
এ ব্যাপারে গোলাপগঞ্জ মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রফিকুল ইসলাম অভিযোগের সত্যতা স্বীকার করে জানান— রতনকে ধরতে পুলিশ চেষ্টা চালাচ্ছে।